"কি রে কি কইছি শুনতে পাচ্ছিস না? মার খাওয়ার আগে উঠে আয় অনু। কিন্তু অনুপমা কিছুতেই উঠে আসছেনা দেখে মা অত্যান্ত হ্ম্যাপে হিংস্র বাঘের মতো গলা পানিতে নেমে মেরে ধরে ওকে বাড়িতে নিয়ে এলো।তারপর খেতে বলে শাসিয়ে গেলো "আর যেন এমন না হয়"। উউয়াআআআআদফা উনাওয়া
অনুপমা সামান্য ঘাড় নাড়ালো, এর অর্থ এহ্মেত্রে এ কাজ আর করবোনা তা নয়,বলা যেতে পারে এখন করবোনা তবে পরে করবো।তাছাড়া মা যে খুব মেরেছে তা নয় আর অনুপমারও খুব লেগেছে তাও নয়।দুজন মিলে একটা মারামারির অভিনয় করেছিলো মনে হয়।তাতে অনুর চোখে যেটুকু জল এসেছিলো তা তার মা র বজ্রাঘাত থেকে বাঁচার জন্য। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই অনু মা র শাসন বারন সব ভুলে গেলো।আবার স্নান করার জন্য নদীর ঘাটে এসে বসে পড়ল। শীর্ণ নদীখানিতে জল বেশি নেই।দুটি পার সবুজ শ্যামলে ঘেরা। এ পারে বসে অনু দেখলো ওপারে বসে এক ধোপা কাপড় কাচছে।এ ধোপা কে অনু এক বছর যাবত দেখে আসছে।দেখতে দেখতে তাকে তার ভালোও লেগেছিলো।আজ স্নানের সময় কি ফাগুন যেন কিশোরির অবচ্ছেদ্য হৃদয়ে অসংখ্য পলাশ আর শিমুলের দ্বীপ জ্বলিয়ে গেলো। হতে পারে পুতুল খেলার মতোই তার আবেগ।কেননা সে যাই হোক ভালোবাসা বুঝার মতো যথেষ্ট বয়স ওর হয়নি তা সহজেই অনুমেয়।এ কথা বুঝার আগেই অনু ছোট্র একটি নাও নিয়ে নদীটি পার হয়ে ও ঘাটে চলে গেলো।তার পর ধোপার সাথে ফিসফিস করে কি বললো আর কি বললোনা তা বুঝা গেলোনা।তবে এইটুকু বুঝা গিয়েছিলো যে ও ভালোবাসার কথাই বলছিলো।তবে তাতে রস ছিলোনা।অনুর কথা শুনে যুবকটি হাসতে হাসতে লুটিয়ে পরে।যুবকটি হিন্দু, নাম নারায়ন।সে জোর গলায় বলছিলো "তুমি জানোনা হিন্দুর সাথে মুসলমানের বিয়ে হয়না" অনু বললো, কেন ভালোবাসাতো হয়। নারায়ন বললো, সে কোন লাভ নেই, বিয়ে না হলে প্রেম করে কি হবে।কথা বলতে বলতে নারায়নের দশ গাছি কাপড় ধোয়া শেষ হয়।তবুও অনুর কথা শেষ হচ্ছেনা দেখে নারায়ন আগ বাড়িয়ে বললো, এবার বাড়ি যাও।অনু যাবেনা বলে পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকে। অবশেষে অনেক অনুন্য়-বিনয় করে ওই হিন্দু যুবকের মুখ দিয়ে বের করলো, ঠিক আছে তোকে ভালোবাসি,এবার পথ ছাড়।অনু আনন্দিত হয়ে ফের নাও নিয়ে নদী পার হয়ে বাড়িত চলে এলো। চলবে------------
অনুপমা সামান্য ঘাড় নাড়ালো, এর অর্থ এহ্মেত্রে এ কাজ আর করবোনা তা নয়,বলা যেতে পারে এখন করবোনা তবে পরে করবো।তাছাড়া মা যে খুব মেরেছে তা নয় আর অনুপমারও খুব লেগেছে তাও নয়।দুজন মিলে একটা মারামারির অভিনয় করেছিলো মনে হয়।তাতে অনুর চোখে যেটুকু জল এসেছিলো তা তার মা র বজ্রাঘাত থেকে বাঁচার জন্য। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই অনু মা র শাসন বারন সব ভুলে গেলো।আবার স্নান করার জন্য নদীর ঘাটে এসে বসে পড়ল। শীর্ণ নদীখানিতে জল বেশি নেই।দুটি পার সবুজ শ্যামলে ঘেরা। এ পারে বসে অনু দেখলো ওপারে বসে এক ধোপা কাপড় কাচছে।এ ধোপা কে অনু এক বছর যাবত দেখে আসছে।দেখতে দেখতে তাকে তার ভালোও লেগেছিলো।আজ স্নানের সময় কি ফাগুন যেন কিশোরির অবচ্ছেদ্য হৃদয়ে অসংখ্য পলাশ আর শিমুলের দ্বীপ জ্বলিয়ে গেলো। হতে পারে পুতুল খেলার মতোই তার আবেগ।কেননা সে যাই হোক ভালোবাসা বুঝার মতো যথেষ্ট বয়স ওর হয়নি তা সহজেই অনুমেয়।এ কথা বুঝার আগেই অনু ছোট্র একটি নাও নিয়ে নদীটি পার হয়ে ও ঘাটে চলে গেলো।তার পর ধোপার সাথে ফিসফিস করে কি বললো আর কি বললোনা তা বুঝা গেলোনা।তবে এইটুকু বুঝা গিয়েছিলো যে ও ভালোবাসার কথাই বলছিলো।তবে তাতে রস ছিলোনা।অনুর কথা শুনে যুবকটি হাসতে হাসতে লুটিয়ে পরে।যুবকটি হিন্দু, নাম নারায়ন।সে জোর গলায় বলছিলো "তুমি জানোনা হিন্দুর সাথে মুসলমানের বিয়ে হয়না" অনু বললো, কেন ভালোবাসাতো হয়। নারায়ন বললো, সে কোন লাভ নেই, বিয়ে না হলে প্রেম করে কি হবে।কথা বলতে বলতে নারায়নের দশ গাছি কাপড় ধোয়া শেষ হয়।তবুও অনুর কথা শেষ হচ্ছেনা দেখে নারায়ন আগ বাড়িয়ে বললো, এবার বাড়ি যাও।অনু যাবেনা বলে পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকে। অবশেষে অনেক অনুন্য়-বিনয় করে ওই হিন্দু যুবকের মুখ দিয়ে বের করলো, ঠিক আছে তোকে ভালোবাসি,এবার পথ ছাড়।অনু আনন্দিত হয়ে ফের নাও নিয়ে নদী পার হয়ে বাড়িত চলে এলো। চলবে------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন