মা ওর পানে রুষ্টভাবে তাকালেন। অনু তার কোন কারন বুঝতে পারলোনা।মা শুধু বললেন,যা স্নান করে আয়।তখন অনুর মনে পড়ে যায় ধোপার সঙ্গে ভালোবাসা-ভালোবাসা খেলতে গিয়ে স্নান না করেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলো।ও আর এখানে থাকতে সাহস করলোনা।অগত্যা অনাবশ্যাক কিছু ঘটে যেতে পারে।তাড়াতাড়ি পা বাড়িয়ে ও ফের তটিনীর পথে ছুটলো।
অনুর সবচেয়ে বড়গুণ ছিলো ও তাল গাছে উঠতে পারতো।কিভাবে পারতো তা জানিনা। এ কারনে কেউ কেউ তাকে বালিকা না বলে বালক বলতো।তাতে অবশ্য ওর কিছু আসতো যেতোনা।আপনার কাজ সে আপন মনেই করে যেতো।একবার ভরা সন্ধ্যায় ও তাল গাছের মাথায় উঠে বসে রইলো।কারনটা আর কিছুই না,সেদিন পলাশপুর হতে বর পহ্ম তাকে দেখতে এসেছিলো।সে কথা ও মার কাছে রাত্রে শুনেছে।বর পহ্ম পথে আছে শুনে ও বিশাল এই তাল গাছটিকে নিরাপদ প্রাসাদ মনে করে তারই মাথায় বসে গুন গুন করে গীত গাচ্ছিলো।কি গাচ্ছিলো তা এতো দুর হতে শুনা যাচ্ছিল না।বর পহ্ম এসেছে কিন্তু কন্যা কোথায়?অনুর মা ওর বাবাকে বললো একটু দাঁড়াও আমি আসছি,এই বলে সে তাল গাছের নিচে এসে দাঁড়াল।অনু তখন আকাশের দিকে চেয়েছিল,নিচের দিকে ফের তাকাতেই দেখে মা মূর্তির মত রক্তিম চহ্মু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ভয়ে অনুর বুকটা শুকিয়ে গেল। একেতো ভর সন্ধ্যা তার উপর তাল গাছের মাথায়। অনু নিজেই বুঝল কাজটা ভাল হয়নি।তাই অপরাধীর দন্ডভার মাথায় নিয়ে গেছোবিড়ালের মত ও নিচে নেমে এলো।কিন্তু মা কিছুই বললেন না।শুধু কন্যার বাম হাতটি জোরে চেপে ধরে বাড়ির দিকে ছুটে চললেন।এবং মাত্রই কয়েক মুহূর্তের মধ্যে তাকে সাজিয়ে গোছিয়ে, রুহ্ম চুল গুলো খোঁপায় বেঁধে বর পহ্মের সামনে এনে হাজির করল।পাত্রি দেখে তাদের বেশ পছন্দও হলো।অতঃপর বিয়ের তারিখ ধার্য করে তারা চলে যায়।কিন্তু অনু খুব বেশি বুঝতে পারলনা যে কি ঘটছে।পাত্রপহ্ম যাওয়ার পর মা বললেন,আর তো মাত্র কয়েকটা দিন মা,এবার একটু ঘরে বস, এই বলে নিজের অজান্তেই কয়ক ফোঁটা জল ফেলে দিলেন।কিছু না বুঝে অনু ও মা র সঙ্গে কাদল। চলবে---------
অনুর সবচেয়ে বড়গুণ ছিলো ও তাল গাছে উঠতে পারতো।কিভাবে পারতো তা জানিনা। এ কারনে কেউ কেউ তাকে বালিকা না বলে বালক বলতো।তাতে অবশ্য ওর কিছু আসতো যেতোনা।আপনার কাজ সে আপন মনেই করে যেতো।একবার ভরা সন্ধ্যায় ও তাল গাছের মাথায় উঠে বসে রইলো।কারনটা আর কিছুই না,সেদিন পলাশপুর হতে বর পহ্ম তাকে দেখতে এসেছিলো।সে কথা ও মার কাছে রাত্রে শুনেছে।বর পহ্ম পথে আছে শুনে ও বিশাল এই তাল গাছটিকে নিরাপদ প্রাসাদ মনে করে তারই মাথায় বসে গুন গুন করে গীত গাচ্ছিলো।কি গাচ্ছিলো তা এতো দুর হতে শুনা যাচ্ছিল না।বর পহ্ম এসেছে কিন্তু কন্যা কোথায়?অনুর মা ওর বাবাকে বললো একটু দাঁড়াও আমি আসছি,এই বলে সে তাল গাছের নিচে এসে দাঁড়াল।অনু তখন আকাশের দিকে চেয়েছিল,নিচের দিকে ফের তাকাতেই দেখে মা মূর্তির মত রক্তিম চহ্মু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ভয়ে অনুর বুকটা শুকিয়ে গেল। একেতো ভর সন্ধ্যা তার উপর তাল গাছের মাথায়। অনু নিজেই বুঝল কাজটা ভাল হয়নি।তাই অপরাধীর দন্ডভার মাথায় নিয়ে গেছোবিড়ালের মত ও নিচে নেমে এলো।কিন্তু মা কিছুই বললেন না।শুধু কন্যার বাম হাতটি জোরে চেপে ধরে বাড়ির দিকে ছুটে চললেন।এবং মাত্রই কয়েক মুহূর্তের মধ্যে তাকে সাজিয়ে গোছিয়ে, রুহ্ম চুল গুলো খোঁপায় বেঁধে বর পহ্মের সামনে এনে হাজির করল।পাত্রি দেখে তাদের বেশ পছন্দও হলো।অতঃপর বিয়ের তারিখ ধার্য করে তারা চলে যায়।কিন্তু অনু খুব বেশি বুঝতে পারলনা যে কি ঘটছে।পাত্রপহ্ম যাওয়ার পর মা বললেন,আর তো মাত্র কয়েকটা দিন মা,এবার একটু ঘরে বস, এই বলে নিজের অজান্তেই কয়ক ফোঁটা জল ফেলে দিলেন।কিছু না বুঝে অনু ও মা র সঙ্গে কাদল। চলবে---------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন