friday special beauty tips for female

নিজেই করুন নিজের ফ্রেশিয়াল - facial

ফেসয়াল মূলত করা হয় ত্বকের সৌন্দর্যের জন্যএছাড়াও দাগের জন্য, ব্রণের জন্য, মেছতা, এলার্জি, এ্যানি, রংয়ের ময়লা পরিষ্কার করে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ফেসয়াল করা হয় তবে ত্বকের ধরন বুঝে ফেসয়াল করা উচিত।....

১৮ বছরের পর থেকে হারবাল ফেসয়াল করা যায়, যার কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নেই সাধারণত ত্বকের সতেজতা, উজ্জ্বলতা এবং ময়লা পরিষ্কারের জন্য ফেসয়াল সবসময় করা যায় তবে যাদের ত্বকের সমস্যা আছে তারা সপ্তাহে একবার করে মাসে চার বার এবং যাদের সমস্যা নেই তারা সতেজতার জন্য মাসে একবার ফেসয়াল করতে পারেতবে যারা প্রতিনিয়ত করে তাদের ত্বকে কোন সমস্যা হয়না


বাসায় করার জন্য কিছু ফেসয়াল প্যাকের ব্যবহারের নিয়ম নিচে দেয়া হল:
নিম ফেসয়াল: দাগ, অল্প মেছতা, এলার্জি ইত্যাদি সমস্যার জন্য এই প্যাকটি বাসায় এনে প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে, যার কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নেইবরং এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়এই প্যাকটির দাম মাত্র ৪০ টাকাবিশুদ্ধ পানি দিয়ে সামান্য পরিমাণ গুলিয়ে চোখ বাদ দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে একটি প্যাকই ব্যবহার করা যায় অনেক দিন
এন্টি পিমপল: মুখে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ থাকলে এই প্যাকটি এনে এক দিন পর পর ব্যবহার করা যেতে পারেশারীরিক কোন অসুস্থতা না থাকলে অবশ্যই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়এই প্যাকটির দাম ৪০ টাকাএকইভাবে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে সামান্য পরিমাণ গুলিয়ে চোখ বাদ দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে
পার্ল: সপ্তাহে একদিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যায়এই প্যাকটি ২৫০ গ্রামএকইভাবে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে
তবে যত কিছুই মুখে লাগানো হোক না কেন বাহির থেকে ফিরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবেতা নাহলে মুখে ময়লা জমে বিভিন্ন সমস্যা হবেআর মুখের ত্বক অনেক বেশি কোমল বলে অবশ্যই ত্বকের সমস্যার জন্য কোন অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানের  অথবা কোন ত্বক
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।                  

হাত পায়ের যত্ন - Hand and foot care


ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত সারা বছর। তবে রোদ-বৃষ্টির মাতামাতিতে তা যেন আরও বেশি দরকার। কখনো বৃষ্টি, কখনো রোদের দাপটে হার মানছে হচ্ছে আমাদের ত্বক।এই সময়ে হাত-পায়ের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায়।

বৃষ্টির কারণে ফাংগাল ইনফেকশন হয়। এ জন্য খুব ভালো করে হাত-পা পরিষ্কার করা উচিত। সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব করলে ভালো হয়। চালের গুঁড়ার সঙ্গে শসার রস, গাজরের রস ও মসুর ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো হবে। গরম পানির মধ্যে আধ চামচ শ্যাম্পু, একটু লবণ দিয়ে পা ডুুবিয়ে রাখতে পারেন ১০-১৫ মিনিট। ব্রাশ দিয়ে এরপর পা ঘষে নিন। বাজারে মাটির ঝামা কিনতে পাওয়া যায়, সেটা দিয়ে গোড়ালির নিচের অংশটুকু ঘষে নিন। মরা চামড়া উঠে যাবে।
বাজারে মেনিকিউর, পেডিকিউর কিট কিনতে পাওয়া যায়। এতে নখ পরিষ্কার করার সামগ্রীও থাকে। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। নখে একটু ভ্যাসলিন লাগিয়ে নখের চারপাশ পরিষ্কার করে নিন। লেবুর রসও খুব ভালো পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। সবশেষে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুবার এভাবে যত্ন নিলে হাত পা দুটি ভালোই থাকবে।
তবে নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। লেবু যাতে ত্বকে খুব একটা না লাগে সেদিকটায় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অনেকের ত্বকে এতে জ্বালাপোড়া করে।
কনুইয়ের অংশে অনেক সময় কালো ছোপ পড়ে যায়। মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে আলতো করে ঘষুন। কালো ছোপ কমে যাবে।
ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে অনেকের হাত-পায়ে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। দুধ, মধু, লেবুর রস, মসুর ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে একটু ঘন পেস্টের মতো করে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন ব্যবহারে সুফল পাবেন। এ ছাড়া তিলের পেস্ট, কাঠ বাদাম ও ময়দা মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বক ছাড়া প্রায় সব ধরনের ত্বকের জন্যই এটি ভালো। তেঁতুল ও মধুর মিশ্রণ লাগাতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা।
যাঁরা এ সময় শুষ্কতায় ভুগছেন, তাঁরা ঘরোয়া ময়শ্চারাইজার বানাতে পারেন। তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে লাগালে শুষ্ক ভাব কমে যাবে। এ সময় ত্বক যেন অনেক সময় ধরে ভেজা না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।

                   

চোখের নিচে কালি - Black Circles Under Eyes

Tips: যাদের চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যা আছে, তারা শসা চাক করে চোখের পাতায় ২০-২৫ মিনিট রাখুনগোল আলুর রসও ব্যবহার করতে পারেন এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন আইকেয়ার জেল পাওয়া যায় তা ব্যবহার করতে পারেন। মাঝেমধ্যে ঘড়ির কাঁটার দিকে অথবা বিপরীতে খুব হালকাভাবে চোখ ম্যাসেজ করতে পারেন চোখকে বিশ্রাম দিনদৈনিক অন্তত ছয় ঘটনা ঘুমান এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফলমূল খান                   

কিছু ভালো ডায়েট টিপস - Diet Tips


·                     প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করা |  মহিলাদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস (২ লিটার), পুরুষদের জন্য ১২ গ্লাস(৩ লিটার) পানি খেতে হবে| এটি সারাদিনের সব রকমের পানীয়র হিসাব| তবে যারা ব্যায়াম করেন, তারা আরো বেশি পানি পান করবেন|
·                     রাতের খাবার ঘুমানোর তিন ঘন্টা আগে খেতে হবে| কেন?

·                     রাতে ঘুমানোর সময় ক্ষুধা লাগলে  কিছু না খাওয়াই ভালো, তবে ননী/ফ্যাট ছাড়া দুধ খেতে পারেন|
·                     খাবারে শর্করার পরিবর্তে  সবজি ও ফল রাখা, কারণ এগুলোতে আছে প্রচুর ভিটামিন, ফাইবার ও antioxidant.
·                     সালাদ বেশি বেশি খাওয়া, দুপুর ও রাতের খাবারের সাথে অবশ্যই সালাদ থাকবে|
·                     মাছ অবশ্যই খেতে হবে, মাংশ কম খেয়ে মাছ বেশি খেলে ভালো লাল মাংশ : যেমন গরুর মাংশ না খাওয়া ভালো |
·                     সাদা আটার রুটি না খেয়ে, লাল  আটার রুটি খাওয়া| কারণ লাল আটা complex carbohydrate, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী| তেমনি সাদা শর্করা যেমন সাদা চালের ভাত বাদ দিয়ে, লাল চাল খাওয়া ভালো |
·                     বিনস( যেমন: red kidney beans), কাচা ছোলা এগুলো প্রতিদিন খেতে হবে| কারণ এগুলো তে আছে কম ফ্যাট, এবং cholesterol কমানোর উপাদান | তাছাড়া  ভিটামিন বি, potassium, fiber ও আছে এগুলোতে| যা হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় |
·                     ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়া, অবশ্যই ননী বিহীন দুধ |
·                     প্রতিদিন টক দই খাওয়া, চিনি ছাড়া|
·                     মহিলাদের জন্য calcium সমৃদ্ধ খাবার : দুধ, টক দই  প্রতিদিন খেতেই হবে
·                     ভাত কম খেয়ে, সবজি, ফল,সালাদ বেশি খাওয়া|
·                     পরিমিত পরিমানে খাওয়া |
·                     প্রতিদিনে ৫/৬ বার খাওয়া |
·                     দুই, তিন ঘন্টা পর পর ২০০/৩০০ ক্যালরি খাওয়া সব চাইতে ভালো অভ্যাস
·                     সকালের নাস্তা অবশ্যই খাওয়া
·                     ভাজা পোড়া, বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা|
·                     প্রানিজ আমিষ সবসময় না খেয়ে উদ্ভিজ আমিষ বেশি খাওয়া |কারণ উদ্ভিজ আমিষ এ ফ্যাট কম থাকে |
·                     প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম snacks হিসাবে খাওয়া, এতে ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ে, cholesterol কমে|
·                     প্রতি বার খাবারে আমিষ খেতে হবে পরিমান মত| আমিষ হতে পারে: মাছ, সাদা মাংশ ( মুরগির মাংশ ইত্যাদি) , বিনস, বাদাম, ডাল, পনির, দই  ইত্যাদি | কারণ আমিষে শর্করার তুলনায় কম ক্যালরি থাকে, এটা পেট ভরা রাখে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে | এটা muscle গঠনেও সহায়তা করে| পুরুষরা কিন্তু বেশি বেশি আমিষ খাবেন|
·                     ওজন কমাতে চাইলে চিনি একেবারে বাদ দিতে হবে| মিষ্টি জাতীয়, চিনি যুক্ত খাবার বাদ দিতেই হবে |
·                     বেশি তেল ও মশলা যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে| তবে মশলা ভালো, বিভিন্ন রকম মশলার বিভিন্ন গুনাগুন আছে| তবে পরিমানমত দিয়ে রান্না করতে হবে|
·                     ভাজা, ভুনা নয়, সিদ্ধ, grilled, broiled  উপায়ে রান্না করতে হবে|
·                     খাবারের মেনুতে  প্রচুর ফাইবার সমৃধ্য খাবার যেমন: লাল আটা , শাক , বিনস,সালাদ, সবজি, ফল, oats,cornflakes রাখুন|  কারণ ফাইবার ওজন কমায়, হজম শক্তি বাড়ায় , এবং cholesterol কমায়| মহিলাদের জন্য ২১-২৫ গ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ৩০-৩৮ গ্রাম  ফাইবার খেতে হবে প্রতিদিন|
·                     খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবন না খাওয়া | কারণ অতিরিক্ত লবন শরীরে পানি আনে, blood pressure ও ওজন বাড়ায়| রান্নাতেই অনেক লবন থাকে, বেশি লবন খাবার দরকার নেই|
·                     সপ্তাহে  একদিন নিজের পছন্দের  খাবার খাওয়া| এটা খাওয়ার রুচি বাড়িয়ে, একঘেয়েমি কমাবে | শরীর একরকম খাবারে অভ্যস্ত হলে সেই ডায়েটিং কোনো কাজে আসবে না | এই প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দেই, যা অনেকেই ভুল করে| যেমন আমাকে বাইরে restaurant  , কোনো program   খেতে দেখলে সবাই অবাক হয়ে জিগ্গেস করে কেন আমি উল্টা পাল্টা খাবার খাচ্ছি, কারণ সপ্তাহে একদিন অন্যরম বা প্রিয় খাবার পরিমান মত খেলে কোনো অসুবিধা নেই, বরং এটা শরীরের জন্য ভালো | সেক্ষেত্রে restaurant এ গেলে পরিমানমত খেতে  হবে, একবারে কখনই বেশি খাওয়া যাবে না| যে পরিমান খাবার একজনের জন্য restaurant  দেয়, তা দুজন, তিনজন ভাগ করে খাওয়া উচিত, কারণ এত বেশি পরিমান একসাথে খাওয়া ঠিক নয়(Bengali beauty tips)
               

কোন ত্বকে কি রকম মেক-আপ ?

এখানে দেয়া হলো কোন ত্বকের জন্য কিভাবে মেক-আপ করতে হবে :----

তৈলাক্ত ত্বক
* প্রথমে ত্বক পরিস্কার করুন। তারপর অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন লাগান।
* ১০ মিনিট পর কম্প্যাক্ট পাউডার লাগান। ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। কম্প্যাক্ট লাগালে ত্বকে অতিরিক্ত চকচকে ভাব থাকে না।
* ফাউন্ডেশন লাগাতে চাইলে ওয়াটার বেসড ফাউন্ডেশন লাগান।
* ত্বকে লাগানোর আগে একফোঁটা জল মেশান। না হলে কেক ফাউন্ডেশন বা প্যানস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে লাগানোর আগে অল্প জল মিশিয়ে নেবেন।
* ফাউন্ডেশন লাগানোর পর পাউডার লাগান। মুখে ফাউন্ডেশন সেট করা যাবে।
* পাউডার ব্লাশার ও আইশ্যাড ব্যবহার করুন।


রুক্ষ ও পরিণত ত্বক
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা, ভাঁজ পড়তে থাকে। ত্বক অনুজ্জ্বল লাগে। ত্বক শুস্ক হয়ে পড়ে। ত্বকের যত্ন ও মেক-আপের প্রতি উত''সাহ কমে গেলে ট্রাই করুন সহজ কয়েকটি নিয়ম।
* সানস্কিন ও অ্যান্টিএজিং উপাদানসমুহ ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই বয়সে স্কিন কেয়ারের জন্য উপযুক্ত।
* ভারী ফাউন্ডেশনে ত্বকের বলিরেখা আরও স্পস্ট হয়ে ওঠে। তাই লিকু্ইড ও পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। লিকু্ইড ফাউন্ডেশন লাগালে ত্বকের অনুজ্জ্বল ভাব ঢাকা পড়ে। পাউডার ফাউন্ডেশন লাগালে আলাদা করে কম্প্যাক্ট লাগানোর দরকার পড়ে না।
* থ্রি ইন ওয়ান আইশ্যাডো-লিপ কালার-চিক কালার স্টিক কিনে নিন। আইশ্যাডো, চিকবোনে লাগানোর পর ব্রাশ দিয়ে লিপ কালার হালকা করে লাগান।
* চোখে আইলানার লাগান। কালোর বদলে গ্রে, ব্রাউন, ল্যাভেন্ডার কালার ট্রাই করতে পারেন। কাজল পেনসিলের বদলে আইলানার পেন ব্যবহার করুন।
* শেষে মাসকারার টাচ দিন। চোখ বড় ও সুন্দর দেখাবে।

রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের যত্ন

Tips: কর্মব্যস্ত আপনি বাড়ি ফিরে একটু পানি গরম করে নিন। পা দুটি গরম পানিতে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এতে আপনার সারা দিনের ক্লান্তি যেমন দূর হবে, পাশাপাশি দূর হবে সারা দিনের পায়ে লাগা ধুলাবালি আর ময়লা। ঝামা পাথর দিয়ে গোড়ালি হালকা ঘষেও নিতে পারেন। তার পর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।গরমে ত্বকের যত্ন




সাধারণত আমাদের ত্বক চার ধরনের হয়। সাধারণ ত্বক, শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক এবং মিশ্র ত্বক। চার ধরনের ত্বকের যত্ন চার রকমের। আবার কিছু ব্যাপারে নিয়ম একই। গরমে প্রতিদিন কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন, সেটাই জেনে নেওয়া যাক। পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান।
রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এ জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় টুকটাক যত্ন নিতে হবে। যদি মেকআপ করা থাকে, তাহলে সেটা ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে। মেকআপ রিমুভার, আই মেকআপ রিমুভার দিয়েই পরিষ্কারের কাজটি করা উচিত। এরপর ত্বক বুঝে ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। মুখ ধোয়ার পর টোনার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের জন্য এটা ভালো কাজ করে। বাজারে অনেক ধরনের নাইট ক্রিম পাওয়া যায়। আপনার ত্বকের জন্য প্রযোজ্য এমন একটিকেই বেছে নেওয়া উচিত। প্রতিদিন রাতে মুখ ধুয়ে ক্রিম লাগাতে হবে। চোখের নিচে কালি পড়ার অন্যতম কারণ হলো রোদ। গরমে তা আরও বেশি হয়। চোখের কালো দাগ দূর করার জন্য আন্ডার আই জেল বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
দিনের বেলা বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। সানস্ক্রিন হিসেবে ক্রিম ব্যবহার না করতে চাইলে এসপিএফ ১৫ আছে, এমন ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। ঘাম থেকে মুখে ময়লা জমে যায়। এ কারণে ব্যাগে ফেসিয়াল ওয়াপইস রাখুন। প্রয়োজনমতো মুছে নেবেন। বাসায় ফিরে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সাত দিনে একবার স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে। তবে তৈলাক্ত ত্বকে শুধু ব্ল্যাক হেডস অথবা হোয়াইট হেডসের জায়গাটুকুতেই ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের গরমকালে কষ্ট হয় বেশি। তেলগ্রন্থিগুলো এ সময় সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণে তেল বের হয় বেশি। তাঁরা মেডিকেটেড ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করলে ভালো ফল পেতে পারেন। অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লাগাতে পারেন। ক্রিমের মধ্যে তেলবিহীন ময়েশ্চারাইজার অথবা পানি বেশি আছে এমন ক্রিমই মানানসই এ ধরনের ত্বকে। প্রয়োজন হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
বাইরে ঘোরাঘুরি করলে চেহারায় কালচে ছোপ ছোপ পড়ে যায়। ত্বকে মানিয়ে গেলে টমেটোর রস, কমলালেবুর রস অথবা আলুর রস দিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শশার রস সবচেয়ে ভালো। নিয়মিত প্রতিদিন ব্যবহারে কালো ভাব দূর হয়ে যাবে।
এ সময়টা বেশি পরিমাণে শাকসবজি, সালাদ খেতে হবে। তৈলাক্ত খাবার যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে। বাইরে থেকে এসে হুট করে ঠান্ডা কিছু খাওয়া উচিত নয়। গরমে রুপচর্চা



গরমে ত্বকের যত্নে আর পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে কমবেশি সবাইকেই কিছু ভাবনা-চিন্তায় পড়তে হয়। তবে নিত্য-নতুন প্রসাধনী, রূপচর্চার কৌশল আর ডিজাইন কনসেপ্টের কারণে এ বিষয়গুলো এখন অনেকের কাছেই আর দশটা সহজ কাজের মতোই।

গ্রীষ্মের এই সময়টাতে যারা ঘরের বাইরে যান কিংবা যারা যান না তাদের সবাইকেই কমবেশি কিছু সাধারণ সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। প্রথমত এই সময়ে প্রকৃতি জুড়ে যে তীব্র দাবদাহ চলতে থাকে তার প্রভাবে ত্বক প্রচুর পরিমাণে আর্দ্রতা হারায়। ত্বকের লাবণ্যতা হারিয়ে গিয়ে সেখানে পাকাপোক্ত স্থান করে নেয় রুতা। আর ত্বকের উপরিভাগের মৃতকোষের সাথে গরমের ঘাম যোগ হয়ে তৈরি করে বিতিকিচ্ছিরি এক অবস্থা।

ফলাফল, একটা প্রাণহীন ত্বক নিয়ে সারা দিনমান ঘুরে বেড়ানো। কাজেই গরমের সময়টাতে নিজের রূপটুকু সঠিকভাবে প্রকাশ করতে কি ধরণের সাজ-পোশাক বা প্রসাধনীর দ্বারস্থ হবেন সেটি ভাবার আগে ভাবতে হবে এইসব সমস্যার সমাধানের কথা। বিশ্বজুড়ে যারা ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানের কথা হররোজ ভেবে চলেছেন, তাদের মতে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত স্ট্রবেরি আর পিচ এইসব সমস্যার সমাধান করতে পারে সহজেই।

বিশ্বখ্যাত সৌন্দর্য সাবান লাক্স ইতোমধ্যেই তাদের প্রডাক্ট লাইনে নিয়ে এসেছে স্ট্রবেরি এবং পিচ সমৃদ্ধ সাবান। এতে প্রাকৃতিক উপাদানের বাস্তব পরশ না মিললেও ত্বকে অনায়াসে যোগান দেয়া যাবে গ্রীষ্মের প্রয়োজনীয় পুষ্টি। উদহারণস্বরূপ স্ট্রবেরি একদিকে যেমন ত্বকের ভেতর জমে থাকা অবাঞ্চিত তেল ও ময়লা ভেতর থেকে পরিস্কার করবে অন্যদিকে এটি ত্বকের উপরিভাগের মৃতকোষ সরিয়ে ত্বকে যোগান দেবে বাড়তি আর্দ্রতা। আর পিচ এর ছোঁয়ায় আপনার ত্বক ফিরে পাবে হারানো সজীবতা ও কোমলতা।

এতো গেলো গ্রীষ্মের রূপচর্চাকে সহজ করার যৎকিঞ্চিত কলাকৌশল এর কথা। কিন্তু সুন্দর সাজ এর সাথে পোশাক এর যথাযথ সম্মিলন না হলে তাকে কি আর ‘পারফেক্ট’ সাজ-পোশাক বলা যায়। সাধারণ যে বিষয়গুলো মনে না রাখলেই নয় তাহলো, গ্রীষ্মের পোশাক হিসেবে ত্বকের রঙের সাথে মানানসই উজ্জ্বল যেকোনো পোশাকই হতে পারে কার্যকর।

যারা একটু ফর্সা তারা পোশাকের রঙ হিসেবে বেছে নিতে পারেন সাদা, নীল কিংবা গোলাপীকে। স্টাইলিশ টিনএজারদের পরনে থাকতে পারে ব্লু জিন্স উইথ পিঙ্ক টি-শার্ট।আর কর্মব্যস্ত নারীরা রাতের নিমন্ত্রণে প্রাধান্য দিতে পারেন লাল কিংবা পিচের মতো অভিজাত রঙকেও। অন্যদিকে যাদের গায়ের রঙ একটু চাপা তারা সরাসরি উজ্জ্বল রঙের পোশাক ব্যবহার না করে উজ্জ্বল যেকোনো রঙের শেডযুক্ত পোশাক পড়তে পারেন।

‘বাংলার মেলা’র ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হকের মতে, এই গরমে যেহেতু সুতি পোশাকের উপরই সবার ঝোঁকটা বেশি থাকে তাই মেয়েরা পিংক, লেমন বা হালকা বেগুনি আর ছেলেরা অফ-হোয়াইট পোশাক পড়লে তা প্রায় সবধরণের সাজের সাথেই কমবেশি মানিয়ে যাবে। সেই সাথে ল্য রাখতে হবে পোশাকের কাট এবং ফ্যাব্রিকের প্রতিও।

এই সময়ের ত্বক এবং রুপ পরিচর্যার কিছু টিপস:

০ গরমের মেকাপে হালকা অয়েল ফ্রি ধরণের কসমেটিক্স ব্যবহার করুন। তবে ভুলেও ভারী মেকাপ করবেন না।

০ সানস্ক্রিনের সুফল শতভাগ পেতে এর সাথে ফাউন্ডেশন মিশিয়ে লাগান।

০ রোদের তাপ থেকে ত্বককে বাঁচাতে বরফ দিয়ে হালকা ম্যাসেজ করুন।

০ গরমে ক্রিমজাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করলে তা গলে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করুন পাউডার জাতীয় কসমেটিক্স ব্যবহার করতে।

০ গরমে ত্বক ঝকঝকে রাখার প্রথম ধাপ হলো ডিপ কিনজিং। এজন্য ‘লাক্স স্ট্রবেরি এন্ড ক্রিম’ এর মতো যেকোনো সৌন্দর্য সাবান বা আলাদা ক্লিনজার, স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।

০ ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে ব্যবহার করুন ‘লাক্স পিচ এন্ড ক্রিম’ সোপ। অথবা ফাওয়ার বেজড স্কিন টনিক যেমন ল্যাভেন্ডার বা রোজ স্কিন টনিক (গোলাপ জল) ফ্রিজে রেখে তুলা দিয়ে মুখের ত্বকে লাগাতে পারেন।

০ গ্রীষ্মে ঠোঁটের সাজ হিসেবে লিপলাইনার বাদ দিতে পারেন। আর ‘লিপকালার’ হিসেবে ব্যবহার করুন হালকা গোলাপী বা ব্রাউন কালারের মতো ‘ন্যাচারাল’ কোনো কালার।

০ নিয়মিতভাবে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করুন। গর্ভবতী মায়ের ত্বকের যত্ন



এটা খাও, ওটা খাও—অনাগত সন্তানের কথা ভেবে গর্ভবতী মাকে এমন কথা প্রায়ই শুনতে হয়। আর তাই ঘুরে-ফিরে অভিভাবকেরা গর্ভবতী মায়ের হাতে তুলে দিচ্ছেন কখনো দুধের গ্লাস, কখনো বা ফল। কিন্তু গর্ভবতী মায়ের ত্বকের যত্ন যেন সবাই ভুলেই যান। অনেকেই হয়তো ভাবেন, গর্ভবতী মায়ের আবার ত্বকের যত্ন কেন?। এ সময় খাওয়া-দাওয়াটাই তো মুখ্য। তবে একটু লক্ষ করলেই দেখা যায় যে গর্ভকালীন মায়েদের ত্বকে দেখা দেয় মেছতা, ব্রণ বা কালো ছোপ ছোপ দাগ। আবার কখনো বা ত্বক ফেটে যায়। এ সময়ে ত্বকের সঠিক পরিচর্যা না করলে অনেক সময় তা স্থায়ী হয়ে যায়। এমনটাই বললেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। তিনি বলেন, মায়ের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মূলত ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা হয়। এ কারণে গর্ভকালীন মায়ের ত্বকের যত্নের জন্য কিছু টিপস দিয়েছেন তিনি।
তাঁর মতে, এ সময়ে নিয়ম করে সপ্তাহে অন্তত একদিন হালকা গরম পানি দিয়ে সারা শরীর পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। কেননা, শরীর তখন অপেক্ষাকৃত ভারী হয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে ময়লা জমতে পারে। তাই হালকা ম্যাসাজ করে পরিষ্কার করা ভালো। মুখের ত্বকের ধরন বুঝে সপ্তাহে একবার ঘরে তৈরি করা প্যাক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি। শুষ্ক ত্বকের জন্য কাঠবাদাম পেস্ট, সয়াবিন পাউডার, গাজরের রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে ত্বক হবে মসৃণ। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সিকি চামচ মধু, শসা, গাজরের রস, মেথি গুঁড়া দিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করা ভালো। যেকোনো রকম ত্বকে মধু ব্যবহার করা যাবে, কারণ মধু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য কাঁচা হলুদ, মধু, মুলতানি মাটি, মসুর ডাল দিয়ে বেটে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলে কাজে দেয়। আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই কাপড় পরিবর্তন করে ঢিলেঢালা পাতলা কাপড় পরে ফেলুন। এতে ঘুম ভালো হয়। আর ভালো ঘুম হলে শরীর এবং ত্বক দুটোই ভালো থাকবে। অনেক সময় ত্বকে কালো বা বাদামি রঙের মেছতা দেখা যায়। অবহেলা করলে এই মেছতার দাগ স্থায়ীভাবে বসে যেতে পারে। মেছতার দাগ তোলার জন্য তেঁতুলের রস ও মধু দিয়ে ম্যাসেজ করে ডিমের সাদা অংশ, ডাবের পানি, কাঁচা হলুদ দিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণের সমস্যা হলে ব্রণ যেখানে উঠেছে সেখানে লবঙ্গ গুঁড়া পেস্ট করে লাগালে ব্রণ কমে যায়।
গর্ভকালীন অনেকের চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমলকী, হরীতকী, বহেড়া, টকদই, ডিম, কাঁচা মেহেদি দিয়ে চুলের প্যাক তৈরি করে ১০ দিন অন্তর ব্যবহার করলে চুল ঝরঝরে থাকবে, চুল পড়া কমে যাবে। আর চুলে নিয়মিত তেল দিতে হবে। তবে রাতে তেল দিয়ে সকালে শ্যাম্পু করলে ভালো। ছেলেদের ফেসিয়াল



এই রোদ, এই বৃষ্টি...প্রকৃতির এ বৈচিত্র্যটা ঘরে বসে দেখতে যত ভালো লাগে, বাইরে বেরোলে পুরো উল্টো। কারণ রোদ-বৃষ্টি যা-ই হোক না কেন ধুলাবালির হাত থেকেও রেহাই নেই, তাই না? ধুলাবালির এই অত্যাচারে ত্বক হয়ে পড়ে খসখসে ও অমসৃণ। সাধারণত ছেলেরা ঘরের বাইরে বেশি সময় থাকে, তাই তাদের ত্বকের যত্ন নেওয়াটা বেশি দরকার হয়ে পড়ে। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি ছেলেদের ত্বকের জন্য ফেসিয়ালের গুরুত্ব নিয়ে বলেছেন হেয়ারোবিক্স সেলুনের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন। কিছু বিষয় সবার জন্যই দরকার। যেমন বাইরে বের হওয়ার আগে হাত-মুখ ধুয়ে সানস্ক্রিন লোশনটা লাগিয়ে নেওয়া। রাস্তার ধুলাবালি মেখে একাকার হয়ে অফিসে ঢুকে নিজের টেবিলে বসার আগে একটু প্রসাধন রুমে ঢুকে মুখটা ধুয়ে নিন। ব্যাগে ছোট একটা ফেসওয়াশ রেখে দিন। তারপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সেটা আপনার অফিসের টেবিলের তাকে রেখে দিতে পারেন। যাঁরা শিক্ষার্থী, তাঁরা ব্যাগের ছোট পকেটে রেখে দিন। ক্লাসে ঢোকার আগে বা ক্লাসের ফাঁকে দূর করে নিন ধুলাবালি। এটা খুব কঠিন মনে হলে ভেজা টিস্যুর একটা প্যাকেট কিনে নিন পাশের দোকান থেকে। ওটা দিয়ে মুখ মুছে নিন।
যাঁরা এটুকু সময় পান না, তাঁদের ত্বকের ক্ষেত্রেই ঘটে যত বিপত্তি। নাকের দুই পাশে, ঠোঁটের কোনা, থুতনির কাছে ব্ল্যাকহেডস ওঠে অনেকেরই। এটা ধুলাবালি ও ঘাম থেকেই হয়। তাঁরা একটু সময় করে মাসের ছুটির একটি দিন বেছে নিন। কোনো বিউটি স্যালনে গিয়ে ফেসিয়াল করে নিন। শুষ্ক ত্বক যাঁদের, তাঁরা সানবার্ন ফেশিয়াল করাতে পারেন। এটি রোদের পোড়া ত্বকের জন্যও উপকারী। তা ছাড়া এই ফেসিয়ালটি টিনএজাররাও করতে পারেন। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা অ্যালোভেরা ও গোল্ড ফেসিয়াল করাতে পারেন। অনেকের ত্বকেই ব্রণের সমস্যা থাকে, তাঁরা আয়ুর্বেদিক ফেসিয়াল করাতে পারেন। ব্ল্যাকহেডস দূর করতে নিয়মিত ফেসিয়াল করিয়ে নিন। এতে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে পরে ব্ল্যাকহেডস তোলা হয়, তাই এতে ত্বকও সতেজ হয়ে ওঠে।
আপনি চাইলে নিজেও নিজের ত্বকের যত্ন করতে পারেন।
রোদে পোড়া ভাব কমাতে চন্দনের প্যাক লাগাতে পারেন।
বাজারে স্র্কাব পাওয়া যায়। দু-তিন দিন পর পর সেটি দিয়ে ত্বক কিছু সময় ম্যাসাজ করতে পারেন।
গরম পানিতে ভাপ নিয়ে আস্তে আস্তে দুই আঙুলের ডগা দিয়ে চেপে ব্ল্যাকহেডস বের করতে পারেন। দুই-তিন দিন পর পর রাতে ঘুমানোর আগে উপটান লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। তার পর ধুয়ে ফেলুন।
ফেসিয়াল করাতে পারেন ছেলেদের বিভিন্ন বিউটি পার্লার ও সেলুনে। সানবার্ন ফেসিয়াল করতে লাগবে ৪০০ টাকা, গোল্ড ফেসিয়াল ১০০০ টাকা, আয়ুর্বেদিক ফেসিয়াল ৭০০ টাকা ও রেগুলার ফেসিয়াল ৩০০ টাকা। অবশ্য পার্লারভেদে খরচের কিছুটা তারতম্য হতে পারে।


দিনমান যত্ন রোদ থেকে ত্বক বাঁচান



পয়লা বৈশাখের সকাল থেকে সন্ধ্যা—সারা দিনই থাকে বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান। এসবের সঙ্গে অবশ্য উৎপাত হিসেবে যোগ হয় রোদ আর ধুলা। কিন্তু তাই বলে এসবের ভয়ে দিনটা ঘরে বসে কাটিয়ে দিতে হবে? কোনো মানেই হয় না। প্রকৃতির এমন রুক্ষ মেজাজ ও সারা দিনের ঘোরাঘুরি মাথায় রেখেই সাজগোজ করতে হবে। এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানার সঙ্গে। তিনি জানান, মেকআপ যদি ওয়াটার বেসড না হয়, তবে দেখা যায় সকাল পেরিয়ে দুপুর হতে না হতেই মুখের বিভিন্ন অংশে সাদা ছোপ ছোপ হয়ে যায়। এ দিনটিতে মুখের সাজটা হওয়া চাই হালকা। সবচেয়ে ভালো হয় মেকআপ যতটা সম্ভব কম করলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঘাড়, হাত ও মুখে সানস্ক্রিন লাগিয়ে প্যানস্টিক ব্যবহার করতে হবে। এরপর আপনি পছন্দমতো মেকআপ নিতে পারেন।
মেকআপ গলে যাওয়া এবং মুখের বিভিন্ন অংশে জমাট বেঁধে যাওয়া থেকে রেহাই পেতে চূড়ান্ত মেকআপ করার আগে ও প্যানস্টিক দেওয়ার পর মুখে পাউডার লাগিয়ে নিন। এরপর ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে তা ভালো করে মেশাতে হবে। নয়তো মেকআপ বসবে না। এ ক্ষেত্রে কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করতে হবে। বেস মেকআপ হিসেবে এতটুকুই যথেষ্ট। তাপমাত্রা বেশি থাকায় কাজল ও লিপস্টিক নির্বাচন করুন ম্যাট জাতীয়। নতুবা রোদের তাপে কাজল ছড়িয়ে যেতে পারে।
সারা দিন বাইরে ঘোরাঘুরির ফলে ত্বক ও শরীর কিছুক্ষণ পরপরই ঘেমে যায়। ঘামের সঙ্গে যোগ হয় অতিরিক্ত ধুলা, যা ত্বকে বসে যায়। এ অবস্থায় ভেজা স্পঞ্জ বা ভেজা টিস্যু দিয়ে চেপে চেপে ত্বক মুছতে হবে কিছুক্ষণ পর পর। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। তাই এই দিনে পানি পান করতে হবে বেশি।
দিন শেষে বাসায় ফিরে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে ভালোভাবে। মেকআপ ওঠানোর জন্য তেল ও পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ম্যাসাজ করা যেতে পারে। এরপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে অবশ্যই একটি ভেষজ প্যাক লাগাতে হবে। তবে শুষ্ক ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের প্যাক লাগাতে হবে। এমনটাই জানান রাহিমা সুলতানা। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মসুর ডালের বেসন, ময়দার সঙ্গে বাঙ্গির রস, তরমুজের আঁশসহ রস, দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস, এক চামচ দুধ ও আধা চামচ মধু মিশ্রিত প্যাক উপকারী। অন্যদিকে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা শসা, লেবু অথবা লেবুর রস, কলা ও দুধ মিশ্রিত প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
 ঘাম মুছতে যে স্পঞ্জ ব্যবহার করবেন তা যেন পরিষ্কার থাকে।
 রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
 প্রচুর পানি পান করুন সারা বেলা।
 মেকআপের ব্রাশ, তুলি ও স্পঞ্জ বাইরে থেকে এসে অবশ্যই ধুয়ে রাখবেন নতুবা সংক্রমণ হতে পারে।

সতেজ থাকুন বসন্তে



প্রকৃতিতে লেগেছে ফাগুনের হাওয়া। ঝরাপাতাদের দিনের হলো অবসান। নতুন কুঁড়িরা দিতে শুরু করেছে উঁকি। ওদিকে লাল, নীল, হলুদ ফুলেরা খেলায় মেতেছে প্রজাপতিদের সঙ্গে।...প্রকৃতি যখন নিজেকে সাজাতে এত ব্যস্ত, আপনি কি নিশ্চুপ থাকবেন? ফুল-পাখির সৌন্দর্যের সঙ্গে ধুলার ওড়াউড়িও কম নেই। রোদটাও যেন আরও তেজি হচ্ছে। আর তাই এ সময়টায় আপনার ত্বকের চাই একটু বাড়তি পরিচর্যা।
এ সময়ে আমাদের শরীরের ত্বক, চুলও শুষ্ক থাকে, আর্দ্রতা কমে যায়, পাশাপাশি মরা চামড়া উঠতে থাকে। সে কারণেই এ সময় আমাদের ত্বকের যত্নের দিকে মনোযোগী হওয়া দরকার। বলছিলেন হারমনি স্পার কর্ণধার রাহিমা সুলতানা। এ সময় ধুলাবালির প্রকোপটা বেশি, তাই ত্বকের পরিচ্ছন্নতার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি। যাঁরা বাইরে বের হন, তাঁরা যখনই সুযোগ পাবেন মুখ-হাত ধুয়ে নিন। ত্বকে যেন কোনোভাবে বেশিক্ষণ ধুলাবালি আটকে না থাকে। দিনে অন্তত তিনবার হাত-মুখ ধোবেন। ব্যাগে ছোট একটা ফেসওয়াশ রেখে দিন অথবা এক প্যাকেট ভেজা টিস্যু (ওয়েট টিস্যু) রেখে দিন। কাজের ফাঁকে মুখটা মুছে নিন। আপনার ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি সতেজও দেখাবে। এ সময় রোদের তীব্রতা বেশি থাকে। তাই অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন বা সানব্লক ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না। সানস্ক্রিন বেছে নিন আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী। তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের, তাঁরা পানিযুক্ত সানস্ক্রিন এবং শুষ্ক ত্বক যাঁদের, তাঁরা তেলযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যাঁরা কেমিক্যাল সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেন রাহিমা সুলতানা। সানস্ক্রিন হিসেবে তিলের তেল খুব ভালো। তবে তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের, তাঁদের এটা না লাগানোই ভালো। তাঁরা শুধু পাউডার লাগাতে পারেন।
বাইরে থেকে ফিরে খুব ভালোভাবে হাত-মুখ ধোবেন। মুখ ধুয়ে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার দিন। ত্বক ভেজা থাকতে থাকতে ময়েশ্চারাইজার লাগালে বেশি ভালো। এ সময় অনেকেরই মৃত চামড়া বা মৃত কোষগুলো উঠতে দেখা যায়। মৃত কোষগুলো খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। সপ্তাহে অন্তত একবার ত্বকে স্ক্রাব লাগান। অনেকেই শুধু মুখমণ্ডলের যত্ন নেন; হাত, পা, গলা, ঘাড়ের দিকে ততটা নজর দেন না। সবটুকু মিলেই তো আমাদের সৌন্দর্য, তাই না? তাই অবশ্যই হাত, পা, ঘাড়সহ সারা শরীরের ত্বকেরই যত্ন নিন।
আপনি ঘরে বসেই তৈরি করে নিতে পারেন প্রাকৃতিক স্ক্রাব।
 মুখে স্ক্রাব হিসেবে পাউডার ধরনের স্ক্রাব বেছে নিন। কারণ, মুখের ত্বক আমাদের শরীরের অন্যান্য ত্বকের চেয়ে কোমল। বেসন অথবা ময়দা বেছে নিতে পারেন মুখের জন্য স্ক্রাব হিসেবে।
 হাত, পা, গলা, ঘাড়ে স্ক্রাব হিসেবে চালের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। এটা দানাদার বলে মৃত কোষ পরিষ্কারে খুব ভালো কাজ করে।
 চালের গুঁড়ার সঙ্গে গাজরের রস মিশিয়েও লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। তা ছাড়া কাঁচা হলুদের রসও খুব ভালো কাজ করে।
 সয়াবিন গুঁড়ার সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে সারা শরীরে লাগাতে পারেন। অথবা ময়দার সঙ্গে জলপাই বা নারকেল মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
স্ক্রাব লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। ধোয়ার সময় হালকা করে ম্যাসেজ করুন। এতে মৃত কোষ উঠে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে রক্তসঞ্চালনও বাড়বে। এই ম্যাসেজটা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ধুলায় ধূসরিত পথে হেঁটে এ সময় আপনার পায়েরও নিশ্চয়ই বেহাল অবস্থা। তাই সুন্দর দুখানি পায়ের জন্য একটু কষ্ট করুন। বাইরে থেকে ফিরে কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে মুছে নিন। তারপর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। ত্বকে এ সময় অনেকেরই রোদে পোড়া কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। এ জন্য ভালো মাস্ক হচ্ছে তিল, সরিষা, জিরা সমপরিমাণে নিয়ে পুরো শরীরে ও মুখে মাখতে পারেন। এ ছাড়া পাকা টমেটো দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। বাজারে ক্যালামাইলিন লোশন পাওয়া যায়। রোদে পোড়া ত্বকে রাতে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। ঠোঁটের ক্ষেত্রে লেবু ও মধু মিশিয়ে সকাল ও বিকেলে ম্যাসেজ করতে পারেন। লিপস্টিক হিসেবে দিনে সান প্রোটেকশনসহ লিপস্টিক ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভেজা ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। আর সকালে ব্রাশ করার সময় নরম ঠোঁটে ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে মৃত চামড়াটা তুলে ফেলুন। এরপর পেট্রোলিয়াম জেলি মাখুন। যাঁদের চোখের নিচে কালি পড়ে, তাঁরা হরীতকী, আমলকী, বয়রা—এ ত্রিফলের গুঁড়া মিশিয়ে লাগাতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তিলের তেল দিয়ে হালকা ম্যাসেজও উপকারী।
এ সময় ধুলাবালি আর রোদের উত্তাপে চুলগুলো হয়ে ওঠে রুক্ষ। অনেকের চুল পড়াও শুরু হয় শুষ্কতার কারণে। তাই চুলের যত্নের দিকে মনোযোগ দিতে ভুল করবেন না।
 আমলকী গুঁড়া চুলে লাগাতে পারেন।
 তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে রাতে ম্যাসেজ করুন মাথার ত্বকে। সকালে ধুয়ে ফেলুন।
 সবুজ ধনেপাতার রস চুলের গোড়ায় লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়।
 শিকাকাই গুঁড়া চুলের জন্য উপকারী। পানিতে মিশিয়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
 মেহেদির রস ও পেঁয়াজের রস লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখতে পারেন। আপনি চাইলে বাজারের শ্যাম্পু-কন্ডিশনারের পরিবর্তে ঘরে বসেও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কাজ সারতে পারেন।
 রাতে রিঠা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পানিটা ছেঁকে শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করুন।
 ৩০ মিনিট সরিষার খৈল ভিজিয়ে রেখে তা শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
 কন্ডিশনার হিসেবে চায়ের লিকার ঠান্ডা করে শ্যাম্পুর পর ১০ মিনিট চুলে রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
 রাতে মেথি গুঁড়া ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে সকালে সেটা কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
যেহেতু এ সময় রোদের তাপ বেশি, তাই বাইরে বের হওয়ার সময় চুলে একটা স্কার্ফ পেঁচিয়ে নিন। রাহিমা সুলতানা বলেন, ত্বকের ও চুলের সৌন্দর্যের জন্য খাবারটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ৮০ ভাগই খাওয়ার পুষ্টি এবং মাত্র ২০ ভাগ বাইরের যত্নের ওপর সৌন্দর্য নির্ভর করে। তাই খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন।
ভিটামিন এ ও ই-সমৃদ্ধ সবজি, ফলমূল খান, পান করুন প্রচুর পানি। একটু সময় বের করে প্রতিদিন করতে পারেন যোগব্যায়ামও। এর ফলে শরীর ও মনের মধ্যে ভারসাম্য আসে; ঘুম ভালো হয়। চিন্তাটা আজ থেকে কমিয়ে দিন। হাসতে কৃপণতা কেন করবেন? হাসুন প্রাণ খুলে। আপনাকে এমনিতেই অনেক সুন্দর দেখাবে। বলুন তো আর কী চাই?

কেশকাঁটা



কাঁটার বাঁধনে চুল বাঁধার ফ্যাশন এখন চলছে বেশ। গরমে লম্বা চুলগুলো খুলে না রেখে তরুণীরা আজকাল তা বেঁধে রাখছেন খোঁপায়। আর সে খোপার শোভা বাড়াতে তাতে গুঁজে দিচ্ছেন বাহারি সব কাঁটা।

ক্যালেন্ডারে বসন্তকাল চললেও গরম পড়েছে ভালোই। এ সময়ে পিঠ-ছাপানো চুলের জন্য গরমও বেশিই অনভূত হয়। তাই মেয়েরা এখন চুলগুলো বেঁধে ফেলছে খোঁপার বাঁধনে। আর সেই খোঁপাও একহারা গড়নের হাতখোঁপা নয়, বরং খানিকটা স্টাইলিশভাবে কাঁটা দিয়ে বাঁধা। যে যাঁর মনের মতো করে ব্যবহার করছেন এসব কাঁটা। মায়ের খোঁপায় রুপোর কাঁটা এমনটা দেখে বড় হলেও এখনকার মেয়েদের সে রকম খোঁপা বেঁধে আবার কাঁটা পরার সময় কই? তাই তো এখন চুলের কাঁটায় রুপার বদলে এসে হাজির হয়েছে হাজারটা উপকরণ। ফ্যাশন হাউস পিরানের ডিজাইনার হোসনা বানু বলেন, ‘মায়েরা পরতেন বিশাল খোঁপায় রুপার কাঁটা। তাতে রাবীন্দ্রিক ছাপ ছিল পুরো মাত্রায়। আর এখনকার মেয়েরা খানিকটা চুল তুলে দিয়ে পরছে কাঠ, প্লাস্টিক, মেটালের কাঁটা। পুরোপুরি খোঁপা না করলেও চুল বাঁধা থাকছে ফ্রেঞ্চ নটে। আর এ সময়ের কাঁটাগুলোয় খানিকটা দূরপ্রাচ্য যেমন চীন, জাপানের প্রভাব স্পষ্ট।’ রুপার কাঁটা যে কেউ পরছে না, তা নয়। বরং বাহারি সব ডিজাইনে রুপার কাঁটা চলছেও বেশ। যাত্রার ডিজাইনার শুক্লা জানান, রুপার কাঁটার পাশাপাশি তাঁরা কাঠের কাঁটাও তৈরি করছেন। কাঠের এসব কাঁটায় কড়ি, পুঁতি, মেটালের নানা ধরনের নকশার মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়। আবার কিছু কাঠের কাঁটার আকৃতি একই রকম রেখে তাতে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে নকশায় বৈচিত্র্য আনা হয়।
রুপার কাঁটায় এখন চলছে বেশ ভারী নকশা। তাতে আবার নানা রঙের মিনার কাজও প্রাধান্য পাচ্ছে। এ সময়ে এসে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে সোনার প্রলেপ দেওয়া খোঁপার কাঁটা। এ ধরনের কাঁটা রুপা দিয়ে তৈরি করিয়ে সোনালি রং করিয়ে নেওয়া হয়। অনেক সময় রুপার কাঁটায় কানের দুলের সঙ্গে টানাও থাকে। এ ধরনের নকশার কাঁটা অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ব্যবহার করলেই বেশি ভালো লাগবে। সঙ্গে অনেক বড় খোঁপা অথবা বেণি করে বেণির গোড়ায় এ রকম নকশা করা কাঁটা পরলে সুন্দর দেখায়।
নানা উত্সব-পার্বণে খোঁপায় ব্যবহার করার জন্য ধাতব নানা নকশার কাঁটা পাওয়া যাচ্ছে। এসব ধাতব-কাঁটা কাতান শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে খোঁপায় পরা যেতে পারে। আবার মেটালের পাশাপাশি কাঠের কাঁটা, কড়ি, পুঁতির নকশাদার কাঁটা তো রয়েছেই। এসব কাঁটা প্রতিদিনের পোশাকের সঙ্গেও ব্যবহার করা যেতে পারে। খানিকটা ফ্যাশনেবলভাবে ব্যবহার করতে পারলে দেখতে বেশ লাগবে এসব কাঁটা। পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে ব্যবহারের জন্য তো প্লাস্টিক, কাঠ বা ধাতব কাঁটা আরও বেশি মানানসই। সেই সঙ্গে কাঁটায় চুল বেঁধে রাখলে অনেক বেশি আরামদায়ক হবে।
খোঁপার কাঁটা পাওয়া যায় নানা নকশায় নানা দামে। সব ধরনের শপিং মলে প্লাস্টিকের কাঁটা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যায় কাঠ, মেটাল এমনকি রুপার তৈরি খোঁপার কাঁটা।
প্লাস্টিকের খোঁপার কাঁটা পাওয়া যাবে ১০-২৫ টাকায় বিভিন্ন দোকানে। ঢাকার ধানমন্ডির জেনেটিক প্লাজা, মেট্রো শপিং মলের গয়নার দোকানগুলোয় পাবেন এসব কাঁটা। আর একটু নকশা করা বা রুপার কাঁটা পাওয়া যাবে যাত্রা, পিরান, বাংলার মেলা, বিবিয়ানা, রঙ, আড়ং, নগরদোলার মতো ফ্যাশন হাউসগুলোয়।
রুপার কাঁটার দাম অন্তত ২৫০ টাকা থেকে শুরু। আর অন্যান্য কাঁটা ৫০-২২০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে। রুপার কাঁটা চাঁদনী চক বা অন্য কোনো রুপার দোকানে অর্ডার দিয়েও তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। রুপায় তৈরি করে সোনার রঙে রং করিয়েও নেওয়া যায়। ফ্যাশন ও আরাম দুটোর জন্য খোঁপার কাঁটা এখন ফ্যাশনের চলতি ধারা।


 
 


কাঁটার বাঁধনে চুল বাঁধার ফ্যাশন এখন চলছে বেশ। গরমে লম্বা চুলগুলো খুলে না রেখে তরুণীরা আজকাল তা বেঁধে রাখছেন খোঁপায়। আর সে খোপার শোভা বাড়াতে তাতে গুঁজে দিচ্ছেন বাহারি সব কাঁটা।

ক্যালেন্ডারে বসন্তকাল চললেও গরম পড়েছে ভালোই। এ সময়ে পিঠ-ছাপানো চুলের জন্য গরমও বেশিই অনভূত হয়। তাই মেয়েরা এখন চুলগুলো বেঁধে ফেলছে খোঁপার বাঁধনে। আর সেই খোঁপাও একহারা গড়নের হাতখোঁপা নয়, বরং খানিকটা স্টাইলিশভাবে কাঁটা দিয়ে বাঁধা। যে যাঁর মনের মতো করে ব্যবহার করছেন এসব কাঁটা। মায়ের খোঁপায় রুপোর কাঁটা এমনটা দেখে বড় হলেও এখনকার মেয়েদের সে রকম খোঁপা বেঁধে আবার কাঁটা পরার সময় কই? তাই তো এখন চুলের কাঁটায় রুপার বদলে এসে হাজির হয়েছে হাজারটা উপকরণ। ফ্যাশন হাউস পিরানের ডিজাইনার হোসনা বানু বলেন, ‘মায়েরা পরতেন বিশাল খোঁপায় রুপার কাঁটা। তাতে রাবীন্দ্রিক ছাপ ছিল পুরো মাত্রায়। আর এখনকার মেয়েরা খানিকটা চুল তুলে দিয়ে পরছে কাঠ, প্লাস্টিক, মেটালের কাঁটা। পুরোপুরি খোঁপা না করলেও চুল বাঁধা থাকছে ফ্রেঞ্চ নটে। আর এ সময়ের কাঁটাগুলোয় খানিকটা দূরপ্রাচ্য যেমন চীন, জাপানের প্রভাব স্পষ্ট।’ রুপার কাঁটা যে কেউ পরছে না, তা নয়। বরং বাহারি সব ডিজাইনে রুপার কাঁটা চলছেও বেশ। যাত্রার ডিজাইনার শুক্লা জানান, রুপার কাঁটার পাশাপাশি তাঁরা কাঠের কাঁটাও তৈরি করছেন। কাঠের এসব কাঁটায় কড়ি, পুঁতি, মেটালের নানা ধরনের নকশার মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়। আবার কিছু কাঠের কাঁটার আকৃতি একই রকম রেখে তাতে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে নকশায় বৈচিত্র্য আনা হয়।
রুপার কাঁটায় এখন চলছে বেশ ভারী নকশা। তাতে আবার নানা রঙের মিনার কাজও প্রাধান্য পাচ্ছে। এ সময়ে এসে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে সোনার প্রলেপ দেওয়া খোঁপার কাঁটা। এ ধরনের কাঁটা রুপা দিয়ে তৈরি করিয়ে সোনালি রং করিয়ে নেওয়া হয়। অনেক সময় রুপার কাঁটায় কানের দুলের সঙ্গে টানাও থাকে। এ ধরনের নকশার কাঁটা অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ব্যবহার করলেই বেশি ভালো লাগবে। সঙ্গে অনেক বড় খোঁপা অথবা বেণি করে বেণির গোড়ায় এ রকম নকশা করা কাঁটা পরলে সুন্দর দেখায়।
নানা উত্সব-পার্বণে খোঁপায় ব্যবহার করার জন্য ধাতব নানা নকশার কাঁটা পাওয়া যাচ্ছে। এসব ধাতব-কাঁটা কাতান শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে খোঁপায় পরা যেতে পারে। আবার মেটালের পাশাপাশি কাঠের কাঁটা, কড়ি, পুঁতির নকশাদার কাঁটা তো রয়েছেই। এসব কাঁটা প্রতিদিনের পোশাকের সঙ্গেও ব্যবহার করা যেতে পারে। খানিকটা ফ্যাশনেবলভাবে ব্যবহার করতে পারলে দেখতে বেশ লাগবে এসব কাঁটা। পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে ব্যবহারের জন্য তো প্লাস্টিক, কাঠ বা ধাতব কাঁটা আরও বেশি মানানসই। সেই সঙ্গে কাঁটায় চুল বেঁধে রাখলে অনেক বেশি আরামদায়ক হবে।
খোঁপার কাঁটা পাওয়া যায় নানা নকশায় নানা দামে। সব ধরনের শপিং মলে প্লাস্টিকের কাঁটা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যায় কাঠ, মেটাল এমনকি রুপার তৈরি খোঁপার কাঁটা।
প্লাস্টিকের খোঁপার কাঁটা পাওয়া যাবে ১০-২৫ টাকায় বিভিন্ন দোকানে। ঢাকার ধানমন্ডির জেনেটিক প্লাজা, মেট্রো শপিং মলের গয়নার দোকানগুলোয় পাবেন এসব কাঁটা। আর একটু নকশা করা বা রুপার কাঁটা পাওয়া যাবে যাত্রা, পিরান, বাংলার মেলা, বিবিয়ানা, রঙ, আড়ং, নগরদোলার মতো ফ্যাশন হাউসগুলোয়।
রুপার কাঁটার দাম অন্তত ২৫০ টাকা থেকে শুরু। আর অন্যান্য কাঁটা ৫০-২২০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে। রুপার কাঁটা চাঁদনী চক বা অন্য কোনো রুপার দোকানে অর্ডার দিয়েও তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। রুপায় তৈরি করে সোনার রঙে রং করিয়েও নেওয়া যায়। ফ্যাশন ও আরাম দুটোর জন্য খোঁপার কাঁটা এখন ফ্যাশনের চলতি ধারা। চুল থাক খুশকিমুক্ত



ভাবুন তো একজন সুদর্শন পুরুষ, যাঁর বসন আর ফ্যাশনে কোনো কমতি নেই। কিন্তু মাথার চুলে যদি থাকে খুশকি, তাহলে কোথায় যাবে তাঁর ফ্যাশন! যাঁদের মাথায় খুশকি আছে তারাই ভালো জানেন এর যন্ত্রণা। অনেকে আবার খুশকির ভয়ে মাথা কামিয়ে ফেলেন; অথচ একটু সচেতন আর পরিষ্কার থাকলেই খুশকিমুক্ত থাকা যায়।
‘খুশকি ক্রনিক ধরনের একটি সাধারণ চর্মরোগ। মাথার চামড়ায় বেশি হতে দেখা গেলেও মুখে ও বুকেও অনেকের খুশকি হয়ে থাকে’, জানালেন চর্মরোগবিশেষজ্ঞ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম। জীবাণু বা ছত্রাক দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ত্বকের সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড অতিরিক্ত কর্মক্ষম হয়। ফলে খুশকি হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্র পারসোনার ছেলেদের সৌন্দর্যচর্চা শাখার কর্মী মোল্লা রাকিব হোসেন বলেন, মাথার চুল পড়া, অপরিষ্কার থাকা, রোদে পোড়া, মাথা ঘামা, বংশগত কারণে কিংবা ঋতু বদল হলে চুলে খুশকি হতে দেখা যায়।
এ ক্ষেত্রে একটু সচেতন থাকলেই মাথা খুশকিমুক্ত রাখা যায়। খুশকি সারাতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের উপাদান পাওয়া গেলেও তা কিনতে হবে দেখেশুনে। নামী ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা উচিত, আবার সব ব্র্যান্ডের পণ্য সবার জন্য মানানসই হয় না।
যাঁরা ঘরে বসে চুল খুশকিমুক্ত করতে চান, তাঁদের জন্য মোল্লা রাকিব দুটি পদ্ধতি বলেন। পরিমাণমতো তেল কুসুম গরম করে চুলে ম্যাসাজ করুন। নারকেল বা জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন। লক্ষ রাখবেন, তেল যেন চুলের গোড়ায় পৌঁছায়। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এভাবে ব্যবহার করুন। প্রতিবার ব্যবহারের পর ১৫-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের সঙ্গে যেকোনো তেল মিশিয়ে গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করুন। গরম তেল মাথায় সর্বোচ্চ তিন-চার মিনিট রাখুন। এরপর মাথায় ম্যাসাজ করে প্যাক লাগান। টক দই, ডিমের কুসুম, কন্ডিশনার একসঙ্গে পাত্রে মেখে প্যাক তৈরি করতে হবে। ১২-১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চর্মরোগবিশেষজ্ঞ আফজালুল করিম বলেন, খুশকি সারাতে বাজারে ভালো মানের অনেক শ্যাম্পু আছে, যা সঠিকভাবে ব্যবহারবিধি মেনে লাগালে চুল খুশকিমুক্ত রাখা যায়। শ্যাম্পু কেনার সময় যে বিষয়ে লক্ষ রাখা দরকার তা হলো, এতে সিলেনিয়াম সালফাইড, পাইরিথিরিন অথবা টার এই উপাদানগুলো আছে কি না তা দেখে নেওয়া। এই উপাদান থাকলে সে শ্যাম্পু খুশকি সারাতে কাজে দেবে।
এই শ্যাম্পু প্রতি সপ্তাহে দুবার অন্তত ১০ মিনিট করে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায় বলে জানান আফজালুল করিম। ভালো মানের হারবাল প্যাকও লাগাতে পারেন।
অনেকে লেবু ও পেঁয়াজের রস মাথায় ব্যবহার করেন। এতে মাথার চুল রুক্ষ হয়ে পড়তে পারে। তাই কন্ডিশনারযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এতে চুলের রুক্ষতা কেটে ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে।
মাথায় খুশকি হলে কোন দিকে লক্ষ রাখা দরকার, তা জেনে নেওয়া যাক সৈয়দ আফজালুল করিমের কাছ থেকে। খুশকি হলে মাথা চুলকানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। কারণ, এতে মাথায় জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। ধুলাবালি ও রোদ থেকে চুল যতটা সম্ভব বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। খুশকি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় আর এটি কোনো ক্ষতিকর রোগও নয়। সঠিক উপাদান শ্যাম্পুতে আছে কি না দেখে নিন। প্রয়োজনে ২ শতাংশ ক্যাটাকনাজল-সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুল পড়া কমাতে



চুল পড়ছে। কী যে করি! এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। আর গরমে চুল পড়ার হার তুলনামূলকভাবে একটু বাড়ে। তাই বলে তো বসে থাকলে চলবে না। চুল পড়া কমানোর সমাধান দিয়েছেন কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান। তিনি জানান, গ্রীষ্মকালে মাথার ত্বকের ধরন পরিবর্তন হয়। ত্বকের গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয়। ফলে চুল তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে চুল পড়ে অনেক সময়। এ ছাড়া চুলের গোড়ার ঘাম না শুকালে, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে, চুলের ধরনের সঙ্গে মানানসই নয় এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলে সাধারণত চুল পড়ে।
আর এসব থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন? ফারজানা আরমান মনে করেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকলে আমাদের চুল পড়ার হার অনেকটা কমে আসবে। তবে প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়লে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পুষ্টিযুক্ত পরিমিত খাবার খেলে তা চুলেও পুষ্টি জোগায়। খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ফল, সবজি থাকতে হবে। এসব খাবার খেলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। ফলে চুল পড়া কমে যায়। এ ছাড়া চুলের গোড়ায় তেল ও ময়লা জমার কারণেও চুল পড়ে। সে জন্য খুব ভালো হয় ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার না করে একটু পাতলা ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে। ঘন শ্যাম্পু হলে তার সঙ্গে সামান্য পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। শ্যাম্পু দিয়ে মোটা চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে চুলের আগাগোড়া আঁচড়িয়ে ফেলুন। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন, যাতে চুলে কোনো শ্যাম্পু না থাকে। এভাবে প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা যেতে পারে। এবার ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। কন্ডিশনার কখনোই চুলের গোড়ায় লাগাবেন না। সারা মাথার চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে দু-তিন মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

চুল পড়া কমাতে যা ব্যবহার করবেন
লিভ ইন কন্ডিশনার: সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করে লিভ ইন কন্ডিশনার। রং করা চুল কিংবা কোঁকড়া চুলের জন্য এ কন্ডিশনারটি ব্যবহার করা ভালো।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার: শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার পর পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল ঝরঝরে হয়ে গেছে। এ ছাড়া সাদা সিরকাও এভাবে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
হট অয়েল ট্রিটমেন্ট: তৈলাক্ত চুলসহ যেকোনো চুলের জন্য এটি উপকারী। তেল হালকা গরম করে তুলা বা হাত দিয়ে হালকা করে মাথার ত্বকে ঘষে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
টু-ইন শ্যাম্পু: যেসব শ্যাম্পুর গায়ে টু-ইন লেখা থাকে তা এ দেশের আবহাওয়ার জন্য খুব একটা উপযোগী নয়। একনাগাড়ে এ ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয়।

চুলের প্যাক
 হেনা, সামান্য পরিমাণে টকদই ও ডিমের মিশ্রণ।
 ডিম, মাখন, সামান্য পরিমাণে পানি ও জাম্বুরার রস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
 জলপাই তেল, ১০ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে হালকা গরম করে এর মধ্যে দুটি ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল মিশিয়ে তা চুলে দিন। সম্ভব হলে চুলে গরম পানির ভাপ দিতে পারেন। এ জন্য তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিন। এরপর এর পানি ঝরিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
 পাকা কলা, এক চামচ টকদই ও এক চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাশেদ মোহাম্মদ খান বলেন, মানসিক চাপ, বড় অসুখের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাথার ত্বকে চর্মরোগ, বংশগতির কারণেও চুল পড়ে। তবে চুল পড়া কমাতে প্রধানত চুলে পুষ্টি জোগাতে হবে। সে জন্য তেল-মসলাযুক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে এবং মানসিক চাপ কমাতে হবে। এ ছাড়া সময়মতো খাওয়া-ঘুমানো ও পানি পরিমাণমতো পান করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শ্যাম্পু করার সময় যেন নখের আঁচড় মাথার ত্বকে না লাগে।
আরেকটি বিষয় হলো, চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা গজিয়ে যায়। সে কারণে এটি নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। খুশকি দূর না হলেও চুল পড়ে। খুশকি থাকলে সপ্তাহে দুই দিন খুশকি প্রতিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অন্যান্য দিন প্রোটিন, অ্যামাইনো প্রোটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে জেল ও চুলের স্প্রে কম ব্যবহার করাই ভালো। এতে চুলের ক্ষতি কম হয়। আসল কথা হলো, চুলকে পরিষ্কার রাখতে হবে। তবেই দেখবেন চুল পড়া কমে গেছে। চুলের সাজ


যেখানে যেমন চুলের সাজ
বড় বোনের বিয়ে। নিজের সাজগোজ নিয়ে মহাব্যস্ত রিনি। বিয়ে তো আর শুধু একদিন নয়; গায়ে হলুদ, বিয়ে, বৌভাতসহ তিন দিনের জন্য শাড়ি, গয়না, মেকআপ সবই ঠিক। সমস্যা বাধিয়েছে চুলটা। বেয়াড়া চুলগুলোকে ঠিক কীভাবে বাঁধবে তা চিন্তা করে পাচ্ছে না কোনোভাবেই। রিনির মতো যাঁরা চুলের সাজ নিয়ে ভাবছেন, তাঁদের জন্য চমত্কার সব সাজের কথা বলছেন রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান।
চুল বেঁধে রাখার চেয়ে খোলা চুলের ফ্যাশন চলছে এখন। বললেন কানিজ আলমাস খান।
এখন সামনে ছোট করে ছাঁটা ব্যাংগস কাটটা খুব পছন্দ করছেন অনেকে। পাশাপাশি অনেকেই চুলটা রিবন্ডিং করছেন। কিছুদিন আগেও ঘন, ভারী চুলের ফ্যাশন ছিল। এখন চলছে ছোট ও পাতলা চুলের ফ্যাশন। হেয়ার এক্সটেনশনও করাতে পারেন কয়েক ধাপে। চুলে রংধনুর রঙের ছোঁয়া দিতে অনেকেই এখন কালার এক্সটেনশনও করাচ্ছেন। চুলের সাজ কেমন হবে, তা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের পার্টিতে যাচ্ছেন তার ওপর। আপনার পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সাজিয়ে নিন আপনার চুল। শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে আপনি করতে পারেন খোঁপা। চুল যে বাঁধতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। সামনের দিকে হালকা ফুলিয়ে চুল পেছনে ছেড়ে দিতে পারেন। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও ছেড়ে রাখতে পারেন চুল। সে ক্ষেত্রে চুলের একটা সুন্দর কাট দিয়ে নিন। আপনার চুলের সঙ্গে রঙিন হেয়ার এক্সটেনশন করে বদলে দিতে পারেন আপনার চেহারা। তবে এ ক্ষেত্রে পোশাকের রঙের দিকটি মাথায় রাখুন। ফতুয়া ও জিনসের সঙ্গে খোঁপা মানানসই হবে না। তাই পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে খুলে দিন চুল। সামনের দিকে ব্যাককোম্ব করে একটু ফুলিয়ে দিতে পারেন।
চুলের সাজের সময় আপনার মুখের গড়নের কথাও মাথায় রাখুন। যাঁদের মুখ গোল, তাঁরা কপালের দিকটা কম ফোলান। লম্বাটে চেহারা যাঁদের, তাঁরা পেছনের দিকটা ফুলিয়ে নিতে পারেন। চাপা মুখের যাঁরা, তাঁরা দুই পাশেই হালকা করে চুল ফুলিয়ে নিন। এতে ভালো দেখাবে।
আপনার চেহারার আকৃতি যেমনই হোক, চুল একপাশ থেকে ছেড়ে দিলে আপনাকে সুন্দর দেখাবে। পরতে পারেন পরচুলা বা এক্সটেনশনও। তবে সে ক্ষেত্রে আপনার চুলের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরচুলা পরুন। পনিটেলও করতে পারেন। অনেকে কোঁকড়া চুল পছন্দ করেন। তাঁরা চুল কোঁকড়া করে ছেড়ে দিতে পারেন। তবে চুলের সাজে স্প্রে কম ব্যবহার করা ভালো।
চুলের সাজে ফুল থাকবে না, তা কি হয়? মোটেই না। চুলে গুঁজে দিতে পারেন ফুলও। আগে শুধু ফুলের মালা চুলে গাঁথা হতো। এখন বদলে গেছে এর ফ্যাশন। ফুল লাগাতে পারেন আপনার ইচ্ছামতো। গালের পেছনে, কানের নিচে কিংবা খোঁপায়। তবে এখানেও উপলক্ষ ও পোশাকের ওপর গুরুত্ব দিন। পোশাক জমকালো হলে হালকা ফুল লাগান। পোশাকের রঙের সঙ্গে ফুলের রং মেলাতেও ভুল করবেন না।
এ তো গেল চুল সাজের কাহিনি। পার্টি শেষে সাজানো চুলের সাজ তোলাটা কিন্তু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চুলের সাজে ব্যবহূত ক্লিপগুলো আস্তে আস্তে খুলে নিন। মোটা দাঁতওয়ালা চিরুনি দিয়ে ধীরে ধীরে চুল আঁচড়ান। জলপাই তেল হালকা গরম করে কিছুক্ষণ মাথার ত্বক ও চুলে ম্যাসাজ করুন। গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। এবার কিন্তু চুলের বিশ্রামের সময়!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 

bangla karaoke

recent post

get this widget here

your ip

Weather Widget

technology

choose your favourite colour

flag counter