সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২

মোমের আলো (স্বপ্নীল, কবিতা)

জীবনের অপূর্ণ যে আশা
ক্রমাগত হ্ময় হয় মোমের আলো,
হাত পেতে চাই যে নীরব ভালোবাসা-
তার চেয়ে কালো তার চেয়ে ভালো
এতটুকু পাই যদি তার বিহ্মিপ্ত হাসি
জীবন কেটে ্যাবে নির্নিমেষ ভালোবাসি।

বুক পেতে চাইবোনা আর বেশি কিছু পেতে
জীবন শিখা হ্ময় হয় যদি তার আলোতে।

দুচোখে তার ভাসবো আমি
হয়ে অন্তর্যামী
দুর পথে থাকে যদি তব ছায়াখানি
আমি জানি-মানি-পাবোনা জানি
তার দেখা-
তবু আছে রাখা হে সখা
তোমার লাগি দুটি জাগ্রত আঁখি,
স্বপ্নে সুদূর আছে রাখা
মাটিতে জোছনার মাখামাখি।

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

ঝরা বৃষ্টি(স্বপ্নীল কবিতা)

বাদল দিনের ঝরা বৃষ্টি
ঝুলে কুন্তলে কদমের শাখে,
হৃদয় মম তব প্রিয়তম
অন্তরতম করে রাখে।

তবু বলতে চাই যত হৃদয়ের কথা
মরে তুমুল তৃষ্টি-
মোর কথন কেড়ে নেয় তবু
অঝর ধারার বৃষ্টি।

রচিতে চাই তবু বিরহের সুর
ভরা জলের আখরে-
রচিতে তবু পারিনা তারে
ঝর ঝর ঝর বাদরে।

হ্মনপরে খুলে যায় বাতায়ন দ্বার
আমি তাতেও খুজে নেই তার,
মেঘলা রাতের বিভোর কান্না
পেতে মোরে তব আত্নায়।

বাংলাদেশ,আমাদের ভালোবাসা আমাদের একতা

বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। আমরা লড়াই করেছি,কিন্তু জিততে পারিনি।তাহলে আমরা কি পেলাম। আসলে আমরা যা পেয়েছি তা জয়ের চেয়েও অনেক কিছু। আমরা সারা বিশ্বে আমাদের ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছি এই এশিয়া কাপ দিয়ে। আর এর সাথে জাতি হিসেবে প্রমান করেছি আমরা একতাবদ্ব। এতগুলো মানুষের প্রার্থনা,কান্না আর নিরবতাই তার প্রমান। গুডলাক বাংলাদেশ। আমাদের সমস্ত ভালবাসা তোমার প্রতি। 

বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২

বাংলাদেশের জন্য প্রার্থনা

অনেক পথ পারি দিয়ে বাংলার টাইগাররা এখন এশিয়া কাঁপের ফাইনালে। আগামীকাল পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে  বাংলার দামাল ছেলেরা মীরপুরে ষ্টেডিয়ামে   খেলতে নামবে। আমরা বাংলাদেশে ক্রিকেট দলের জন্য প্রার্থনা করি যেন বাংলাদেশের ফাইনালে জিতে পুরু জাতিকে আনন্দের সাগরে ভাসিয়ে দেয়। শুভ কামনা বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের জন্য। 

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১২



ভালোবাসার সমাধী (শাম্মী আক্তার) কবিতা

একদিন ওই দুরুন্তে চলে যাবো-
ভেবনা তুমিও থাকবে আমার সাথে
আমার হাত ধরে-,
আমরা চলতে চলতে খুজে নেব একটি পাহাড়
অবশেষে পেয়ে গেলাম ছোট্র একটি মাটির ঘর, 
ওই দেখো দুরে সমুদ্র দেখা যায়-
এই সমুদ্রে কাছে আমরা সব কষ্ট দিয়ে দেব,
আমার সব সুখের বিনিময়ে তোমাকেই করব সুখী
আর তোমার মুখে ফুটাব অনিঃশেষ হাসি।
একি তোমার চোখে জল?
কই নাতো এ কোন জল নয়,
তোমাকে আপন করে কাছে পাওয়ার আনন্দ অশ্রু।
আচ্ছা আমরা মরে গেলে এই ঘরটা কাকে দেব?
আমরা যেয়ে স্বার্থপর হবো,কাউকে দেবনা এই ঘরখানি
এই ঘরেই হবে আমাদের শেষ নিঃশ্বাস আর-
আমাদের প্রেমের সমাধী।

সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১২

অনুহ্মন (ছোট গল্প,স্বপ্নীল) পর্বঃ০৪

বাড়িতে যেদিন বিয়ের আয়োজন করা হলো সেদিন অনুকে তেমন একটা আঁচ করতে দেয়া হলনা যে আজই তার বাপের বাড়িতে বাদরামীয়ার শেষ দিন।কারনটা আর কিছু নয়, যদি এ ভয়ে সে এ গ্রাম ছেড়ে ও গ্রামে চলে যায় তাহলে তো বংশের জাঁত যাবে।রাড়িতে যখন ভীষন রান্নাবানা  চলছে তখন অনু এসে মা র কাছে বসল।তারপর আগ্রহ ভরে জিজ্ঞেস করল,বাড়িতে কি এমন আয়োজন চলছে যা তাকে বলা হচ্ছেনা।এরই মাঝে এক দুড়ন্ত বালক হাওয়ার বেগে এসে বললো,"চল অনু পাখি ধরতে যাই" অনু উঠতে উদ্যত হলে মা বাঁধা দিয়ে বললেন,"আজ আর নয় মা" আজকে তোমার বিয়ে।কথাটি শুনে ও হাসিতে উচ্ছ্বল হয়ে উঠে। "সে আবার কি গো মা" "সে পরে বলব, আমার কাছেই বসে থাক মা।এভাবে সারাটা দিন ছটফট করে কাটে অনুর।এরই মাঝ যতোটুকু ফাঁকা সময় পেয়েছিল, তখন ওর চোখে ভাসতে থাকে সেই তাল গাছ, নির্জন বন, কর্দমাক্ত বিল,আর শীর্ণ নদীখানির কথা।বেলা যখন গেড়িয়ে এল তখন ওর ভাবনার জালও ছিন্ন হল।গ্রাম থেকে পড়শীরা এসে তাকে সাঁজাতে থাকে।নাকফুল, হাতের বালা, কানের দুল, নীল পেড়ে শাড়ি, পায়ে আলতা আরো কত কি পরিয়ে অনুকে প্রকৃতপহ্মেই বধু করা হল। অপেহ্মা আর তেমন দীর্ঘ হলোনা।সন্ধ্যা ঘনাতেই বর পহ্ম এসে মোল্লা দিয়ে কবুল করিয়ে অনুকে আজগরের বউ করে নিয়ে গেল। আজগর মেট্রিক পাশ করা ছেলে।দেখতে শুনতেও খুব ভাল।তবে অনুর বয়সের সাথে আজগরের বয়সের অনেক ব্যবধান ছিল।তারপরও এখানে বিয়ে দেয়ার একমাত্র কারন হলো পাত্রের অগাদ সম্পদ। অনুর বাবা, মা ভেবেছিল "তাতে কন্যা সুখীই হবে" তার চেয়ে আশ্চর্য কথা হল শ্বশুরালয়ে যাবার সময় অনু একটুও কাদলনা।।তবে মা ভীষন কাঁদলেন আর বিধাতার কাছে বললেন"মেয়েকে আমার সুখে রেখ খোদা। খোশ গল্প করতে করতে অনু নিজের ঘরে মানে শ্বশুরালয়ে চলে এলো।তার চোখে মুখে মাতৃগৃহ বিয়োগ কিছুই ছিলনা।বরং কিছুদিনের জন্য বাবার বাড়ি ছেড়ে আসতে পেরে ওর ভালই লাগল।কিন্তু এখন থেকে যে তার ইচ্ছা আর ইচ্ছা নেই তা বুঝল না।পরের দিন সকাল হতেই শ্বাশুরি ঢেকে উঠায় অনুকে। পাড়াপড়শীরা দেখতে এসেছে অনুকে। দেখে সবাই বলল, সুন্দর বটে, তবে অনেক চঞ্চল। চলবে---------

অনুহ্মন (ছোট গল্প,স্বপ্নীল) পর্বঃ০৩

মা ওর পানে রুষ্টভাবে তাকালেন। অনু তার কোন কারন বুঝতে পারলোনা।মা শুধু বললেন,যা স্নান করে আয়।তখন অনুর মনে পড়ে যায় ধোপার সঙ্গে ভালোবাসা-ভালোবাসা খেলতে গিয়ে স্নান না করেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলো।ও আর এখানে থাকতে সাহস করলোনা।অগত্যা অনাবশ্যাক কিছু ঘটে যেতে পারে।তাড়াতাড়ি পা বাড়িয়ে ও ফের তটিনীর পথে ছুটলো।
অনুর সবচেয়ে বড়গুণ ছিলো ও তাল গাছে উঠতে পারতো।কিভাবে পারতো তা জানিনা। এ কারনে কেউ কেউ তাকে বালিকা না বলে বালক বলতো।তাতে অবশ্য ওর কিছু আসতো যেতোনা।আপনার কাজ সে আপন মনেই করে যেতো।একবার ভরা সন্ধ্যায় ও তাল গাছের মাথায় উঠে বসে রইলো।কারনটা আর কিছুই না,সেদিন পলাশপুর হতে বর পহ্ম তাকে দেখতে এসেছিলো।সে কথা ও মার কাছে রাত্রে শুনেছে।বর পহ্ম পথে আছে শুনে ও বিশাল এই তাল গাছটিকে নিরাপদ প্রাসাদ মনে করে তারই মাথায় বসে গুন গুন করে গীত গাচ্ছিলো।কি গাচ্ছিলো তা এতো দুর হতে শুনা যাচ্ছিল না।বর পহ্ম এসেছে কিন্তু কন্যা কোথায়?অনুর মা ওর বাবাকে বললো একটু দাঁড়াও আমি আসছি,এই বলে সে তাল গাছের নিচে এসে দাঁড়াল।অনু তখন আকাশের দিকে চেয়েছিল,নিচের দিকে ফের তাকাতেই দেখে মা মূর্তির মত রক্তিম চহ্মু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ভয়ে অনুর বুকটা শুকিয়ে গেল। একেতো ভর সন্ধ্যা তার উপর তাল গাছের মাথায়। অনু নিজেই বুঝল কাজটা ভাল হয়নি।তাই অপরাধীর দন্ডভার মাথায় নিয়ে গেছোবিড়ালের মত ও নিচে নেমে এলো।কিন্তু মা কিছুই বললেন না।শুধু কন্যার বাম হাতটি জোরে চেপে ধরে বাড়ির দিকে ছুটে চললেন।এবং মাত্রই কয়েক মুহূর্তের মধ্যে তাকে সাজিয়ে গোছিয়ে, রুহ্ম চুল গুলো খোঁপায় বেঁধে বর পহ্মের সামনে এনে হাজির করল।পাত্রি দেখে তাদের বেশ পছন্দও হলো।অতঃপর বিয়ের তারিখ ধার্য করে তারা চলে যায়।কিন্তু অনু খুব বেশি বুঝতে পারলনা যে কি ঘটছে।পাত্রপহ্ম যাওয়ার পর মা বললেন,আর তো মাত্র কয়েকটা দিন মা,এবার একটু ঘরে বস, এই বলে নিজের অজান্তেই কয়ক ফোঁটা জল ফেলে দিলেন।কিছু না বুঝে অনু ও মা র সঙ্গে কাদল। চলবে---------

রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১২

অনুহ্মন (ছোট গল্প,স্বপ্নীল) পর্বঃ২

"কি রে কি কইছি শুনতে পাচ্ছিস না? মার খাওয়ার আগে উঠে আয় অনু। কিন্তু অনুপমা কিছুতেই উঠে আসছেনা দেখে মা অত্যান্ত হ্ম্যাপে হিংস্র বাঘের মতো গলা পানিতে নেমে মেরে ধরে ওকে বাড়িতে নিয়ে এলো।তারপর খেতে বলে শাসিয়ে গেলো "আর যেন এমন না হয়"। উউয়াআআআআদফা উনাওয়া
অনুপমা সামান্য ঘাড় নাড়ালো, এর অর্থ এহ্মেত্রে এ কাজ আর করবোনা তা নয়,বলা যেতে পারে এখন করবোনা তবে পরে করবো।তাছাড়া মা যে খুব মেরেছে তা নয় আর অনুপমারও খুব লেগেছে তাও নয়।দুজন মিলে একটা মারামারির অভিনয় করেছিলো মনে হয়।তাতে অনুর চোখে যেটুকু জল এসেছিলো তা তার মা র বজ্রাঘাত থেকে বাঁচার জন্য। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই অনু মা র শাসন বারন সব ভুলে গেলো।আবার স্নান করার জন্য নদীর ঘাটে এসে বসে পড়ল। শীর্ণ নদীখানিতে জল বেশি নেই।দুটি পার সবুজ শ্যামলে ঘেরা। এ পারে বসে অনু দেখলো ওপারে বসে এক ধোপা কাপড় কাচছে।এ ধোপা কে অনু এক বছর যাবত দেখে আসছে।দেখতে দেখতে তাকে তার ভালোও লেগেছিলো।আজ স্নানের সময় কি ফাগুন যেন কিশোরির অবচ্ছেদ্য হৃদয়ে অসংখ্য পলাশ আর শিমুলের দ্বীপ জ্বলিয়ে গেলো। হতে পারে পুতুল খেলার মতোই তার আবেগ।কেননা সে যাই হোক ভালোবাসা বুঝার মতো যথেষ্ট বয়স ওর হয়নি তা সহজেই অনুমেয়।এ কথা বুঝার আগেই অনু ছোট্র একটি নাও নিয়ে নদীটি পার হয়ে ও ঘাটে চলে গেলো।তার পর ধোপার সাথে ফিসফিস করে কি বললো আর কি বললোনা তা বুঝা গেলোনা।তবে এইটুকু বুঝা গিয়েছিলো যে ও ভালোবাসার কথাই বলছিলো।তবে তাতে রস ছিলোনা।অনুর কথা শুনে যুবকটি হাসতে হাসতে লুটিয়ে পরে।যুবকটি হিন্দু, নাম নারায়ন।সে জোর গলায় বলছিলো "তুমি জানোনা হিন্দুর সাথে মুসলমানের বিয়ে হয়না" অনু বললো, কেন ভালোবাসাতো হয়। নারায়ন বললো, সে কোন লাভ নেই, বিয়ে না হলে প্রেম করে কি হবে।কথা বলতে বলতে নারায়নের দশ গাছি কাপড় ধোয়া শেষ হয়।তবুও অনুর কথা শেষ হচ্ছেনা দেখে নারায়ন আগ বাড়িয়ে বললো, এবার বাড়ি যাও।অনু যাবেনা বলে পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকে। অবশেষে অনেক অনুন্য়-বিনয় করে ওই হিন্দু যুবকের মুখ দিয়ে বের করলো, ঠিক আছে তোকে ভালোবাসি,এবার পথ ছাড়।অনু আনন্দিত হয়ে ফের নাও নিয়ে নদী পার হয়ে বাড়িত চলে এলো। চলবে------------

অনুহ্মন (ছোট গল্প, স্বপ্নীল) পর্বঃ০১

অনুপমাদের বাড়ির অবস্থা তেমন ভালো ন্য়,আবার অতি দরিদ্রও নয়। বলা যায় মধ্যবিত্ত। পূবাল হাওয়ার মতো কখনো দিন ভালো যায় কখনো আবার টেনেটুনে চলে।অনুপমা সদ্য কিশোরি। কচিফুলের উপর সপ্তরঙ্গা প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়াতে থাকে।ওর সবচেয়ে সুন্দর বস্তু ছিলো ওর দুটি চোখ।কুচকুচে গভীর কালো আর স্বাভাবিকের চেয়ে একটু প্রশস্ত নেত্রখানিতে সব সময় বসন্ত লেগেই থাকে।কিশোরি দেহে চোখ দুটি যেন অনেক অস্থির। প্রবল চাঞ্চল্যতার উদরগত এ কিশোরি কর্মপটু ছিলো।এর সাথে ধর্মও ভালো জানতো। তবুও কম বয়স বলে কথা,কখনো কখনো কাজ আর ধর্ম কোনটাই সে মানতো না।তখম উদয় হতো ইচ্ছা ধর্ম।ইচ্ছা ধর্ম মানে হলো যা মনে চায় তাই করা। আটকুড়া স্বভাবের জন্য ও মাঝে মাঝে মার হাতে উত্তমমধ্যম খেতে হতো।তাতে অবশ্য বিশেষ কিছু হতোনা,বরং ধরনী যেভাবে চলার কথা সেভাবেই চলতে থাকতো।একদিন গাঁয়ের কিশোর দলকে নিয়ে বিলের পানিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলো অনুপমা। পানি অল্প আর ভীষণ ঘোলা।এতো পানি দেখে কিশোরের দল লম্ভা গলার রাজহাসের মতো আর কিশোরিটি লম্ভা গলার রাজহংসীর মতো হাওয়ায় উড়ে পানিতে লাফিয়ে পড়লো।সে কি ছোটাছোটি না দেখলে বুঝানো যাবেনা।এভাবে ঘন্টা চারেক চলে গিয়েছিলো।কিন্তু যা ধরবার জন্য এ কিশোর কিশোরির দলটি এসেছিলো তার কিছুই তারা ধরলোনা।বলতে গেলে ধরতে পারলোনা। অন্যথায় আর বৃথা চেষ্টা না করে বাড়িতে ফিরার সিদ্বান্ত নিলো ওরা।এদিকে অনুপমার মা অক্লান্ত ব্যস্ততায় কিশোরিটিকে গ্রামভর খুঁজে বেড়াচ্ছে।যখন তালতলা, বাশের ঝুপ,কিংবা বনবাদাড়ে কোথাও খুজে পাওয়া গেলোনা, তখন মধ্যবয়সী এই রমণীটির বুঝতে আর বাঁকি রইলোনা যে, বালকের দলের সাথে সে বিলের পানিতে লুকোচুরি খেলছে। কিছুহ্মনের মধ্যেই সে বিলের কাঁদামাখা জমিতে দাঁড়িয়ে হাক ছাড়লো,"কইলো অনু, সারা দিন পানির মধ্যে খেলা করছিস? তবুও সে অনুপমাকে দেখলো না। বালকের দল এমনভাবে বালিকাটিকে ঘিরে রেখেছিলো যে এখানে কোন মেয়ে থাকতে পারে তা কল্পনা করাই কঠিন ব্যাপার।তবু রমণীটির বিকট চ্যাঁচামেচিতে বালক দলের ব্যুহ ভেঙ্গে গেলো। সবাই এদিক ওদিক ছুটে পালালো। শুধু গলা পানিতে অপরাধীর মতো দাড়িয়ে রইলো অনুপমা।

শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১২

বৃষ্টি (কবিতা,স্বপ্নীল)

বৃষ্টি এবং বৃষ্টিই হোক
এক যুগ কিংবা দুই যুগের প্রশান্ত সম্বল,
বরষে ভিজে ভিজে আমাদের অনিঃশ্বেষ গ্লানি
আর নিভে যাক নিভে যাক সবটুকু অনল।
পুঁড়া ছাই পুরাতন কবরের বালুর মতো
শ্যাওলা হৃদয়ে পরে থাকে দীর্ঘ হাহাকার,
দীর্ঘ অজগর আমাদের ফেলে আসা অতীতের মতো,
প্রার্থনা এই বৃষ্টিতেই দুংখ চলে যাবার।
এরপর আমার আমি আর তোমার তুমি 
বাস করবো নিঃশব্দে একতলা দু'তলা আকাশের মতো,
মেঘেতে ফেলো নিঃশ্বাস বৃষ্টিতে হোক শেষ
এ জীবনের না বলা দুঃখ যতো।

অস্তিত্ব (কবিতা,স্বপ্নীল)

ফিরে আসার গভীর নিমগ্নতা-
তোমায় কতখানি ছোয়ে যায় তা জানিনা,
একদিন বৃহ্ম থেকে কুড়ি-মাটির বুনোট থেকে সবুজ ঘাস
এপারের আকাশে সুনীল বসন্ত আসার কথা ছিলো আলোকিত এবং সজীবান্তে।
সে ধীরে ধীরে ফিরে আসারই প্রতিশ্রুতি
আমার রক্তে এবং তোমার জীবন প্রবাহে।
মহাকালের অনেক সূর্যাস্ত-অনেক মরা আলো
চাঁদ ও অন্ধকা্র রাত্রি আর দিন
ঘন কুয়াশা আর উত্তাল রোদে একাকার হয়ে গেছে।
সময় একটি ফুলকে চুমো খেয়ে আরেকটি ফুলকে জড়িয়ে ধরেছে-
আমরা ধরেছি চাঁদের আলো ধরনীর এপার হতে ওপারে,
তোমার গঙ্গার ছোট ছোট ঢেউ আমার আরব সাগরে
শব্দ দিতো কখনো কখনো কবিতার শক্তির মতো।
আমি জলের সাথে জল মিলিয়ে আসতে চাইতাম
কিন্তু তখন জোয়ার থেকে ভাঁটা হতো আর আমি অসাড় হতাম,
আজ উজান আর ভাঁটায় নয় আমি জীবন্ত অস্তিত্ব নিয়ে এসেছি
জানিনা আমার ফিরে আসার ঢেউ তোমাকে কতখানি ভাসাতে পেরেছে।

শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১২

মরুর পাখি (কবিতা,স্বপ্নীল)

মরুর পাখি তুমি দিগন্ত অপসরা
ঘন নীল তোমার চোখে হামাগুড়ি দেয় আকাশ,
রক্তস্নাত গোধুলি-নীড়ে ফিরা বলাকার মতো
যে বাসন্তি সমুদ্রে তোমার বসবাস।
ফুরিয়ে যায় সব রোদের আলো
বালুতে খেজুরের শিরায় শিরায় বাতাসের শব্দ,
আসে রাত্রি,তুলতুলে মধ্য প্রহর
ধরনীর সবটুকু দেহ নিরাশার গ্লানিতে হয় স্তব্দ।
তারপর সচকিত রক্তকণা আর ঘুমহীন হৃদয়
তোমার খোলা চোখে চোখ রেখ কাটিয়ে দেয় যামিনি,
নেশা আর নবনীত স্বপ্নের প্রাচির রচি
যথায় অবারিত আলো ছিলো তবু চুমিনি।

রাতের শেষে (কবিতা,স্বপ্নীল)

এ নহ্মত্র দ্বীপালি রতের শেষে 
পরে থাকে অজস্র কুহেলিকার সিক্ত আর্তনাদ,
মাটির চোখ ভিজে বয়ে চলে যমুনার স্রোতধারা 
তবুও রয়ে যায় এ জীবনে বেঁচে থাকার স্বাধ।
আলোর বুকে আলো ফেলে অনুহ্মন 
চেয়ে চেয়ে জীবন পায় স্বপ্নের অঞ্জলি-
যা পাইনি আর যা পেয়েছি মহাকালে
অকাতরে নিয়েছি তা উদ্বীপ্ত হৃদয়ে তুলি।
আধো আলো আর আবছা অন্ধকারে 
খুলে দিয়েছিলাম যে হৃদয়ের দ্বার, 
এখানে এসে যতোবার পরেছো প্রিয়তম
মনে রেখো তারে আর কিছুই নেই হারাবার।
মনের গহীন রথে-
যা কিছু ফেলে গেছি অবিরাম চেয়ে চেয়ে ভুলে,
চোখের কোনের ধুসর স্মৃতিটুকু
অকারনে দাও ফেলে্‌।

বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১২

চুলের যত্ন (বিউটি টিপস)

চুল একজন নারীরকে আকর্ষণীয় করতে অতুলনীয় একটি জিনিস। মেয়েদের কালো চুলে সুন্দর গোছানো চুলে সবাইকেই আকর্ষণ করে। কবি নজরুল তার গানে এক এলোকেশী চুলের প্রেমে পাগল হয়ে রচনা করেছিলেন-"আলগা করো গো খোঁপার বাধন দিল ওয়াহি মেরা ফাস গায়ি" আপনার রূপ অনেকাংশেই নির্ভর করে আপনার চুল কতখানি সুন্দর তার উপর। হয়তো কারো চুল সুন্দর না, কারো চুল অয়েলি, কারো আবার অতি শুস্ক। আপনার চুল যে রকমই হোকনা কেন সব প্রকৃতির চুলেরই আলাদা আলাদা যত্ন আছে। চুলের ধরন বুঝে আপনাকে আপনার চুলের যত্ন নিতে হবে। চুলকে  আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি-
১,অয়েলি হেয়ার
২,ড্রাই হেয়ার
৩, নর্মাল হেয়ার
অয়েলি হেয়ার মুলত যাদের শরীর তেলতেলে তাদেরই মুলত এ রকম চুল হয়ে থাকে। আপনার শরীরের অতিরিক্ত তেল আপনার চুলেকে করে তুলে যেয়ে তাকে তেলতেলে করে ফেলে। ড্রাই হেয়ার আবার অয়েলি হেয়ার এর  সম্পূর্ণ বিপরিত। এই প্রকৃতির চুলে সাধারনত যে টুকু তেল থাকা দরকার সেই মাত্রাটুকুও পাওয়া যায়না। অতিরিক্ত রোদে যারা কাজ করেন তাদেরও ড্রাই হেয়ার হতে পারে। আর সব হ্মেত্রে নর্মাল হেয়ার হলো আদর্শ হেয়ার। এই প্রকৃতির চুল প্রাকৃতিক ভাবেই অনেক সুন্দর।এই চুলে ঠিক পরিমানে ময়েশ্চার থাকে। ফলে এই চুল এমনিতেই অনেক সুন্দর।
চুলের যত্নে শ্যাম্পু
আপনার চুলকে পরিস্কার করা অনেক বেশি দরকারি। আপনার চুলকে পরিস্কার করার জন্য  আপনি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।শ্যাম্পু আপনার চুলকে পরিস্কার করে আপনাকে দেবে পরিস্কার চুল। আর এটাই হলো প্রাথমিক চুলের যত্ন। আসলে আপনার চুলে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করা উচিত। কখনো কখনো এটা সম্ভব না হলে ভালো করে পানিতে ধুয়ে নিন আপনার চুলকে। আপনার চুলের ধরন অনুযায়ি আপনাকে শ্যাম্পু সিলেক্ট করতে হবে। একেক ধরনের চুলের জন্য একেক রকম শ্যাম্পু ব্যবহার  করা অনেক জরুরি। অয়েলি হেয়ারের জন্য মাইল্ড শ্যাম্পু সবচেয়ে ভালো। শ্য্যম্পু ব্যবহার করার সময় আপনি অতিমাত্রায় চুল ম্যাসেজ করবেননা। তাহলে আপনার চুল অনেক পরে যেতে পারে। আরো ভালো হয় যদি আপনি আপনার চুলকে কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এতে করে আপনার চুলের তেলতেলে ভাবটা অনেক কেটে যাবে। আপনার চুল যখন শুস্ক প্রকৃতির তো আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হলো এগ বেসড শ্যাম্পু।ডিম শুস্ক চুলের জন্য অনেক ভালো। আরেকটা ব্যাপার অনেক ইমপরটেন্ট, আপনি কখনোই এলকুহেল যুক্ত পানিয় পান করবেন না। এলকুহেল চুলের জন্য মারাত্বক হ্মতিকর।
কিভাবে শ্যাম্পু করবেন?
আপনি শ্যাম্পু করার আগে মোটা দাত অলা চিরুনী দিয়ে মাথাটাকে ভালো করে আচরিয়ে নিন। যেন চুলে কোন জড়তা না থাকে। শ্যাম্পু সরাসরি মাথায় না দিয়ে শুধু চুলে কিছুহ্মন ম্যাসেজ করুন।তারপর ভালো করে পানি দিয়ে আপনার চুলগুলো ধুয়ে নিন। অতঃপর শুকনো নরম টাওয়েল দিয়ে চুলগুলো চুলের পানি গুলো সরিয়ে নিন।
বিভিন্ন চুলের জন্য কন্ডিশনারঃ
কন্ডিশনার চুলের যত্নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আপনার চুলের ধরন অনুযায়ি কন্ডিশনারও বিভিন্ন রকম হবে।
১,অয়েলি চুলের জন্য অয়েল ফ্রি কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
২,শুস্ক চুলের জন্য ময়েশ্চার সমৃদ্ব কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
৩,ডেমেজড হেয়ারের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ব কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
বেশি বেশি পানি খান, নিয়মিত ঘুমান দেখবেন আপনার চুল অনেক সুনর হয়ে গেছে। 
 

bangla karaoke

recent post

get this widget here

your ip

Weather Widget

technology

choose your favourite colour

flag counter