মানুষ তার প্রাত্যহিক জীবনে নানা রোগার দ্বারা হ্মতিগ্রস্ত হয়। ইতিমধ্যেই নানা রোগের ওষুধ বের হয়েছে। কিছু বের হওয়ার পথে। কিছু রোগ সহজেই নির্মূল করা যায়, কিছু আবার নির্মূল করা কষ্টদায়ক হয়। যে সব রোগ নির্মূল করা কষ্টসাধ্য তার মধ্যে অন্যতম হলো ক্যান্সার।ক্যান্সার একটি মারাত্বক ব্যাধী। এই ক্যান্সারের ফলে প্রতি বছর পৃথিবী থেকে সরে যাচ্ছে অগনিত মানুষ।এই ক্যান্সারই কোন কোন হ্মেত্রে নিঃশ্বেস করে দিচ্ছে একটি পরিবার। ক্যান্সার অনেক ধরেনের হতে পারে, তার মধ্যে ত্বকের ক্যান্সার,ফুসফুসে ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার,প্রোটেষ্ট ক্যান্সার অন্যতম। আজকে আমি আপনার মাঝে প্রোটেষ্ট ক্যান্সার নিয়ে আলোচনা করবো। এবার আলোচনা করি কেন,কিভাবে, এই প্রোটেষ্ট ক্যান্সার হয়। প্রোটেষ্ট ক্যান্সার মুলত থাকে মুত্রথলির অগ্রপ্রান্তে । আপনি তা নাও বুঝতে পারেন। ক্যান্সার সাধারনত সংক্রমিত হয় অতি ধীরে ধীরে, তাই আপনার পহ্মে এই রোগের উপসর্গ গুলো বুঝা সত্যিকার ভাবেই অনেক কঠিন।নিচের চিত্রের মাধ্যেমে আপনাকে দেখানো হবে প্রোটেষ্ট ক্যান্সার কোথায় হয়। চলুন তাহলে চিত্রটি দেখে নেয়া যাক-।
লহ্মনঃ
প্রতিটি রোগেরই কিছুনা কিছু লহ্মন আছে। যে লহ্মন গুলো আপনাকে রোগ ব্যাপারে আপনাকে বুঝতে সহায়তা করবে। প্রোটেষ্ট ক্যান্সার হলে সাধারনত এসব লহ্মন গুলো দেখতে পাওয়া যায়,
১,ঘন ঘন প্রস্রাব (রাতের বেলায় বেশি)
২,প্রস্রাব শুরু এবং শেষ করতে কষ্ট হওয়া
৩,প্রস্রাবের সময় ব্যথা,বা জ্বালা পোড়া করা
৪,প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
কখন প্রোটেষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি?
প্রোটেষ্ট ক্যান্সার যেকোন বয়সেই হতে পারে। তবে সাধারনত ৫০-৭০ বয়সী মানুষেরই এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। আর যদি বংশগত ভাবে এই ক্যান্সার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই সম্ভাবনা আরো প্রবল হবে। চর্বীযুক্ত খাবারই মুলত এই রোগের সব চেয়ে বড় মাধ্যম।
কি করে বুঝবো প্রোটেষ্ট ক্যান্সার আছে কিনা?
আপনি একটি পরিহ্মার মাধ্যমে জানতে পারেন আপনার এই রোগ আছে কিনা। স্ক্রীনিং টেষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার এই রোগ আছে কিনা। এই টেষ্ট সাধারনত সব ধরনের প্রোটেষ্ট ক্যান্সার সনাক্ত করতে সহ্মম।
প্রোটেষ্ট ক্যন্সারের ধরনঃ
সাধারনত প্রোটেষ্ট ক্যান্সারকে চারভাগে ভাগ করা যায়-
১,প্রোটেষ্ট এর মধ্যে সীমাবদ্ব ক্যান্সার
২,প্রথম জায়গা থেকে ১ভাগ আডভান্সড লেভেল এ থাকবে এই ক্যান্সার, তবে তা প্রোটেষ্ট এর মধ্যেই সীমাবদ্ব থাকবে
৩,এই ধাবে ক্যান্সার প্রোটেষ্ট এর পাশাপাশি অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়বে
৪,এই ধাপে এসে ক্যান্সার হাড় বা ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রোটেষ্ট ক্যান্সার হলে রোগীর বাচার আশংকা কেমন?
এই রোগ সাধারনত ধীরে ধীরে ছড়ায়, এবং প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই তা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে। যদি প্রোটেষ্ট এবং আশেপাশের টিস্যুতে ক্যান্সার থাকা অবস্থায় তা ধরা পড়ে তাহলে ১০০ ভাগ বাঁচার সম্ভাবনা আছে। যদি এর বাইরে ছড়িয়ে যায় তাহলে আপনার বাঁচার সম্ভাবনা ৩১-৩২ভাগ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন